জানুয়ারি

জাতিস্মর

যে বিশ্বাস করে না
সে কোনো দিনই বিশ্বাস করবে না যে-
কেউ তার জন্যে বকুল ফুল তুলে এনেছিল!

আরও একবার(১ম পর্ব)

সায়ক সে সময়টা নিজের রেস্তোরার নতুন আউটলেট সাজানোর কাজে ব্যস্ত ছিল। আজ চতুর্থী, আর ঠিক দুটো দিন পরে অর্থাৎ মহাষষ্ঠীর দিন তার আউটলেটের উদ্বোধন, তাই তার ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। তাছাড়াও, ইদানীং সায়ক আর অনুমিতার সম্পর্কে চিড় ধরেছে অনেকখানি। দূরত্ব যে বেড়েছে সেটা বলাই বাহুল্য। এখন অনুমিতা সব কাজ বা সিন্ধান্তের কথা সায়ককে জানায়ও না। পুজোর কিছুদিন আগেই রাগারাগি করে অনুমিতা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে এক মাসির বাড়িতে ছিল কিছুদিন।

পরিত্যক্ত বিভীষিকা(১ম পর্ব)

চিরাচরিত জীবনে অবসরের আশীর্বাদের আক্ষরিক সংজ্ঞা ভাষায় উন্মচিত করা যায় কিনা জানিনা কিন্তুু আজও অবকাশের বৃষ্টিস্নাত বিকেলে ঘনিয়ে আসা আলো আঁধারিতে যখন মনের গহনে থাকা স্মৃতিফলকের জীবন্ত রচনাগাঁথা উলটাই তখন একটি ঘটনা আজও হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে তোলে। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? বলব। উত্তর কিন্তুু আজও অধরা। এবার আসল গল্পে আসা যাক।

জন্মদিনের পায়েস

এইখানেই নদী সঙ্গম তীরবর্তী স্থলে এক মা একদিন একটি গাছের নীচে বসে ছিলেন। উদভ্রান্ত যেন, দৃষ্টি স্রোতস্বিনী নদীতে। আত্মার সঙ্গে আত্মীয়র যোগ ছিন্ন হলেও, মনের কষ্ট আর চোখের জল কি সকলকে দেখানো যায়! আর দেখালেই বা হবে কি! কেউ তো আর কারও কষ্টের ভাগ নিতে যাবেন না। চোখের ভাষায় নদীকে কিছু প্রশ্নও ছুঁড়ছেন। কিন্তু নদী তার প্রবাহে ব্যস্ত। অতি বাস্তবতায় তার সবকিছু আশা-নিরাশা, বিন্দু বিন্দু ভালবাসা একাকার হয়ে পড়েছে।

এক মিটার

“বাবা তুমি কবে আসবে? আমার নতুন স্কুলড্রেস বানাতে হবে, দর্জিকাকু বলেছে এক মিটার কাপড় লাগবে। এক মিটার মানে কতটা বাবা?”

উত্তরে উঁকি(১ম পর্ব)

এবার আমাদের বাস ছেড়ে দিল বৃন্দাবনের উদ্দেশ্যে। বৃন্দাবনের এক ধর্মশালায় আমরা রাত্রিবাস করে তার পরদিন সকালে দোলপূর্ণিমার পুণ্যতিথিতে বৃন্দাবনের রূপ রস চাক্ষুষ করার ইচ্ছায় রাস্তায় বেরিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে মূলমন্দিরে প্রবেশ করলাম। সেখানে আমাদের সঙ্গে ছিলেন অনেক বিদেশি পর্যটকও। এখানে আমরা ছিলাম গুরুকূল আশ্রমে। পরদিন বহু পর্যটকের সমাগমে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবার আশঙ্কায় স্থানীয় মানুষজন আমাদের বাইরে যেতে নিষেধ করছিলেন।

যা দেখি(২য় পর্ব)

পৌষ মানেই ইন-জেনারেল পিঠেপুলি আর পায়েসের মাস, পৌষ মানেই শাল-সোয়েটার-টুপি, নানান বাহারি ফুল, মেলা, পিকনিক, স্নান না করার বাহানা, পুরোনো দিনের উনুনপারে বসে আগুন পোহাবার ছবি, বড়দিনের কেক, বেকারির খাবার বিক্রি করতে আসা বুড়োটার লাঠি ঠেকা দিয়ে দাঁড় করানো অসহায় সাইকেল, ঝুপ করে নামা সন্ধে

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর

বাস ছুটতে শুরু করল। দু-দুটো রাত জাগার জন্যে ঘুম ঘুম অবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ করে কোথাও যেন ছিটকে পড়লাম আর হুড়মুড়িয়ে মানুষগুলো আমাকে চাপা দিয়ে ফেলল। যন্ত্রনায় জ্ঞান হারালাম।

নবতরু ফটোগ্রাফি

সোমাদির রান্নাবান্না (৩য় পর্ব)

আগের দিন রাতে গোটা মুগ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার ওই ভেজানো মুগডাল এর সাথে সব উপকরণ নিয়ে অল্প জল দিয়ে মিক্সিতে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। পেস্ট খুব গাঢ় বা খুব পাতলা হলে চলবে না।