এপ্রিল

স্থিতি: সুমিত মুখার্জী
কোনও একদিন আমি চলে যাব,
সেদিন শুধু পড়ে থাকবে আমার স্থিতিগুলো।

বড়ো অচেনা লাগে: সৌমেন দাস
বড়ো অচেনা লাগে,
যখন রোজকার মতো সকালে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বলো,
“আমি কফি খেতেই ভালোবাসতাম।”
গোলাপ তোমার প্রিয় ফুল জেনেছি এতকাল,
আজ দেখি ফুলদানি থেকে সে ফুলের গোছা নামিয়ে,
বলে ওঠো, “বিকেলে কিছু বুনো ফুল এনো তো।”

আগুন ছুঁয়ে বলছি: সামিয়েল সহেল মণ্ডল
নিজে ছাড়া সবাই বন্ধু আমার,
শুধু দোদুল্যমান সেতু-
আছে অথবা নেই
ফাল্গুনী পূর্ণিমা;
ঠোঁট, ছুঁয়ে থাকে রূপোর চামচ।

নিভৃতে সেই তোমার বাঁশি: সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়
শূন্য রঙের একটা আলো
যে-নেশাটার জন্ম দিল
সেই নেশাতে ভিজব বলে
একলা হাঁটা,

অতীত কাহিনি: স্নিগ্ধা রায়
এসেছি ফেলে কিছু কথা আর ছোটো ছোটো দিন
স্মৃতির পাতায় ছাপা আছে কিছু অজানা ভালোবাসার ঋণ।
সময়ের অবকাশে আজ তা হয়েছে অতীতের কাহিনি

বাঘের বন্ধু: অদ্রিজা মুখার্জী
বাঘের হাত থেকে বাঁচতে তাই ওরা ঠিক করল বাঘের বন্ধু হবে। একদিন বাঘের গুহাতে ঢুকে তারা বলল, ” বাঘ তুমি কি আমাদের বন্ধু হবে?
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আরও একবার(৪র্থ পর্ব): জিৎ সরকার
আজকাল যেন অনুমিতাকে কেমন অচেনা ঠেকে সায়কের। এখন তার যেন বাড়ির থেকে বাইরে দিকে মন বেশি। সায়কের সঙ্গে আর ভালোও করে কথাও বলে না, ঝগড়াও করে না। তবে একটা ব্যাপার সায়ক লক্ষ্য করেছে, ইদানীং সায়ক যদি অনুমিতার সামনে রুমির প্রশংসা করে তবে অনুমিতাও তার কলিগ রজত বোসের স্তুতি জুড়ে দেয় সায়ককে শুনিয়ে শুনিয়ে। সায়ক মাঝে মাঝে রেগে যায়, চেঁচামেচি জুড়ে দেয় অনুমিতার সঙ্গে, তবে অনুমিতার দিক থেকে উত্তেজনার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অতৃপ্ত পরিহাস(অস্ফুট সম্ভাষণ/১ম পর্ব): দীপ্তেশ চট্টোপাধ্যায়
বেরিয়ে পড়লাম অবশেষে হাওড়া থেকে সোজা কাটোয়া আর সেখান থেকে ট্রেন বদল করে আজিমগঞ্জ স্টেশনে নামলাম। নবাবের দেশ মুর্শিদাবাদের মাটিতে পা দিলাম বহুদিন পরে। স্টেশনে সুবিমলবাবু ছিলেন সঙ্গে একটা মোটর ভ্যান ভাড়া করে এনেছিলেন। বয়স্ক ভদ্রলোক বেশ অমায়িক। যেন মনে হল কতকালের পরিচিত। ওনার মুখেই শুনলাম বিকাশদের এই ভিটে নাকি নবাব আলিবর্দি খানের আমলের আর ওদের পিতৃপুরুষদের কেউ নাকি নবাব দরবারের গোমস্তার একজন কর্মী ছিলেন।
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জীবন যেমন(২য় পর্ব): ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়
সত্যি তো, ভেবে দেখেনি তো একবার! চিরাচরিত জীবন স্রোতের স্পন্দন তো এই পৃথিবীর পল্লী-শহরে…হাটে-বাজারে…ঝোপঝাড়ে, মাঠে-ময়দানে, অরণ্য-পর্বতে…জঙ্গলে। কিন্তু আঁধার রাতে, মাথার উপর, জ্বলজ্বলে নক্ষত্র ছায়াপথ, দপদপে সন্ধ্যাতারা, ব্রহ্মান্ড।
বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
টান: অনির্বাণ চক্রবর্তী
সব টান ঘর বাঁধে না
একদিন বুঝিয়েছিলে তুমি,
আমি তখন ঘাস লতা পাখি আর
আকাশের কাছে গেছি।
আহা কী অপরূপ তারা!