কবিতা / ছড়া

স্মৃতির বৈশাখে: প্রিয়াংকা রায়
শূন্যের মাঝে মরে খুঁজে খুঁজে
শৈশব মাখা স্মৃতিতে।
ভাবনার মেঘে রংধনু আঁকা
বকের পাখায় লাগে তাই
ধুলায় গোধূলি ছুঁয়ে যায় ঠোঁট

অচিনপুরের যাত্রা: তীর্থঙ্কর সুমিত
থমকে দাঁড়িয়ে আছি
ধানক্ষেতের বুলবুলি সবুজের গায়ে

দখিনা বাতাস: বিবেক পাল
গ্রীষ্মের খরতাপে অতিষ্ট এ-বেলা
পিচ গলে রাজপথে, ধুলো উড়ে মেঠোপথে,
খাল, বিল, শুষ্ক জলাধার; আকুল আবেদনে
অনন্ত অসীমে ডানা ঝাপটায় চাতক!

পরিণতি: সরোজ চট্টোপাধ্যায়
স্বার্থের খেলায় অন্ধ সুজন,
হারিয়েছে আজ সব প্রয়োজন।
সময় স্রোতে ভাসে মৃত মন,

বোঝাপড়া: জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
আজ প্রহর শান্ত, রাত মধ্যম
নিবিড় বর্ষায় আভাসে
সমস্ত উজ্জ্বলতা ঘুমিয়ে পড়েছে শরীরে

ভ্রান্তির শ্লোক: আহবাব হাসনাত লাবিব
ক্লান্ত হৃদয় হিমেল হাওয়া,
প্রশান্তি আনে তর ছোঁয়া।

সাঙাই মহব্বত: হামিদুল ইসলাম
বারবার আমিও ফিরে আসি
পুরোনো সম্পর্কে গড়ি নতুন কথাঘর
দ্রৌপদী যামিনী কন্যা আমার বুকে বাসা বাঁধে অনুক্ষণ।।

কবর: সরোজ চট্টোপাধ্যায়
সরীসৃপের কীসের এতো
বিবেক যন্ত্রণা?
কথায় কথায় কীসের এতো
অলীক কল্পনা?
স্তাবকতার মিথ্যা গানে,
রঙ বদলের প্রহসনে
কীসের মন্ত্রণা?
নগ্ন যখন অক্ষমতা
ঢাকবে কোথায় বিপন্নতা?
কোথায় নেবে ডেরা?
চুপ চাপ লুকিয়ে পড়ো,
কবর আছে খোঁড়া!

ক্ষণকাল: জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
তোমার মুহূর্তের সাথে আমার মুহূর্তের
কোনো আত্মীয়তা নেই

ঢাক: হামিদুল ইসলাম
উদিত সূর্যের দেশে
আজও ভাসে কান্নার ঘ্রাণ
কচি কচি পাতায় কচি কচি শিশু
গুণে রাখে অনার্য সময়।।