বিষময় অতিমারি, মৃত্যুমিছিল, লকডাউন আমার শহর
স্তব্ধ দিন আর কাঁদছে রাত্রি, শঙ্কায় গুনছে প্রহর।
বদ্ধজীবন শরীর দূরে, খুঁজছে মুক্তি ভাষা,
ছাদের বাগান, টুকরো আকাশ, নতুন আলোর আশা।
শরৎ পালায় তবুও শুনি কাশফুলের ঐক্যতান
বেওয়ারিশ লাশ-ঘরে এ কোন আগমনীর গান।
দেবীপক্ষে আসছেন মা শক্তিরূপী তিলোত্তমা রূপে-
তাঁকে কী তিলোত্তমা ফেরাবে স্নিগ্ধ স্বরূপে?
এবার বোধনে হয়তো ঘুচে যাবে মন্দ, রয়ে যাবে ভালো
নতুন দীপ্তেশ হয়তো বা ছড়াবে রোগমুক্ত আলো।
হয়তো এবার জমবে না ঠিক চা-আড্ডা অষ্টমীতে,
থাকুক জমে কিছু কথা না হয় বলা যাবে আগামীতে।
যাদের জোটেনি দুমুঠো দুবেলা, ভাগ্যে শুধুই ধিক্কার-
অন্নভোগ শ্বাশত হোক তাদের, সন্ধিপূজোয় এই অঙ্গীকার।
সারাদিনের প্যান্ডেল হপিং-এ সাবধানতা হাজার,
এই পূজোর ফ্যাশানে নতুন সঙ্গী,মাস্ক-স্যানিটাইজার।
এ বছর হয়তো ভিড় হালকা, বিসর্জনের ঘাটে-
নমস্কারেই হবে বিদায়, আগামীর বোধন মনচৌকাঠে।
শরীরী দূরত্ব বেড়েছে জানি, সেটাও বা কতক্ষন...
এবার শুধুই থাকুক না হয়, মনের কাছে মন।
থাকুক বাধা, আনন্দে নেই কমতি, সতর্ক মনদরদিয়া,
বন্ধু, একটু অন্যরকম হোক না এবার শুভশারদীয়া।
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।