হারান খুড়ো আজব মানুষ আজগুবি সব চিন্তা,
সুখের সময় কেঁদে কাটায় দুখে তাধিন্ ধিন্ তা।
অসুখ হলে খায় না ওষুধ নেয় না কোনো পথ্য,
বাড়িয়ে কিছু বলছি না ঠিক এক্কেবারে সত্য।
পেটের ব্যামোয় রাগ করে সে আস্ত গেলে খাবার,
চাটমশলা চাউ বার্গার রেস্তোরাঁ বা ধাবার।
জ্বর এলে নির্জলা উপোস মারতে থাকে জ্বরে,
সত্যি সে জ্বর ল্যাজ গুটিয়ে পালায় ভয়ে ডরে।
ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি চরম আকার নিলে,
সমস্ত দিন কাটায় ডুবে পুকুর ডোবা ঝিলে।
সারা দেহ ব্যথায় কাতর হলে লাঠির বাড়ি
খেতে শুরু করে তখন অতি তাড়াতাড়ি।
শ্বাসকষ্টে হঠাৎই সে নাক মুখ সব ঢাকে,
শরীর খারাপ হলেই খুড়ো খোস মেজাজে থাকে।
নবতরু ই-পত্রিকার লেখক তথা ছড়াকার খাইরুল আনাম-এর জন্ম ১৯৭৬ সালে। বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরের বাসিন্দা খাইরুল আনাম দীর্ঘদিন ধরেই সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। খুব ছোটো বেলা থেকে সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। আবৃত্তি ও অভিনয়ের প্রতি ছিল প্রচন্ড ঝোঁক। মাত্র সাত বছর বয়সে প্রথম সাঁই সিরাজ (লালন ফকির) যাত্রায় শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু। তার পর থেকে আরো অনেক যাত্রা ও নাটকে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। বাবা আব্দুল মাবুদ সাহেব ছিলেন স্বনামধন্য শিক্ষক, দক্ষ অভিনেতা ও নির্দেশক। তাঁর হাত ধরেই সংস্কৃতি জগতে প্রবেশ। আবৃত্তি, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রভৃতিতে যথেষ্ট পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন। পরবর্তীতে তাঁর নাটকের দিকে আগ্রহ বাড়ে। মঞ্চ এবং পথে(পথ নাটিকা) বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। সাক্ষরতা আন্দোলনে তাঁর মঞ্চাভিনয় ও পথ-নাটিকা এলাকায় যথেষ্ট সাড়া ফেলছিল।
সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ পেশায় শিক্ষক আনাম সাহেব করোনাকালেই লিখে ফেলেছেন বহু কবিতা ও ছড়া, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।