কবেকার সেই গল্পের কথা
মনে হয় এই সেদিনের।
চোখের সাগরে কথা গান হয়,
স্মৃতি ভেসে চলে দুজনের
আমার ভাবনা নীল ডানা মেলে
যায় উরে দূরে বাতাসে
হওয়ার আঁচলে, দোলে ফুলে ফুলে
মাধবীলতার সুবাসে
তোমার আকাশে বায়ু চঞ্চল
ঘোরে দুর্বার গতিতে
শূন্যের মাঝে মরে খুঁজে খুঁজে
শৈশব মাখা স্মৃতিতে।
ভাবনার মেঘে রংধনু আঁকা
বকের পাখায় লাগে তাই
ধুলায় গোধূলি ছুঁয়ে যায় ঠোঁট
অচেনার সুরে মিলে যাই।
বুকে জমে থাকা ছোট স্বপনের
গুচ্ছ রক্তকরবী
সহস্র ছবি রং তুলি নিয়ে
কালবৈশাখী পৃথিবী।
যাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে নানান ছবি, শব্দেরা কথা কয়; তিনি হলেন কবি প্রিয়াংকা রায়। জন্ম ১৯৮৪ সালে কলকাতা শহরে। তাঁর বাল্যকালের অনেকটা সময় কেটেছে শান্তিনিকেতনে আর কিছুটা সময় কলকাতায়। বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবনে আবাসিক ছাত্রী হিসাবে, এরপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য বেশ কিছু খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সৌভাগ্য হয় তাঁর। এগুলির মধ্যে ডব্লুবিইউটি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। তিনি একাধারে এম টেক পাঠ সম্পূর্ণ করেন এবং পরবর্তীতে রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন। কবি শ্রীমতী রায় বর্তমানে বোলপুরের বাসিন্দা এবং শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন।
এরই সঙ্গে তিনি ভালোবাসেন সংগীত চর্চা, হাতেরকাজ, সেলাই, খেলাধুলা প্রভৃতি। তাঁর কথায়, "লিখতে গেলেই মনে হয় বিশালত্বের পাশে ক্ষুদ্রের চিত্রলিপি।" ছেলেবেলায় পাঠভবনের শিক্ষা ও পরিবেশ তাঁর আত্মকথনের সাহস। পাঠভবনের সাহিত্যসভা ও নানা অনুষ্ঠানের হাত ধরে একটু একটু করে লিখতে শেখা, মনের ভাব পেন্সিলের আঁকিবুকিতে খাতায় ফুটিয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে যে অভ্যাসের সূচনা হয়েছিল আজও সেই সাধনা তাঁর অব্যাহত রয়েছে। সেই ছবিই ফুটে উঠেছে নবতরু ই-পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর বিভিন্ন কবিতায়।