যুদ্ধ থেকে ফিরেছিল, কোন গাছ কোন বটের ঝুড়ি
কোন সে গাছে খুশির আবেশ, সদ্য ফোটা ফুলের কুঁড়ি?
হওয়ার দোলায় দুলিয়ে পাতা, কাদের মনের ঘূর্ণিপাকে―
নীলকণ্ঠ জড়িয়েছিল ফাগুনবউ আর পলাশটাকে?
যুদ্ধে যারা গিয়েছিল তারা কি কেউ বেঁচে আছে?
স্বাধীনতার অর্থ বা কী— সবার মধ্যে ক'জন বোঝে?
পতাকা আর রাঙা রঙের বাহার শুধু হওয়ায় দোলে
গান গেয়ে যায় স্বাধীনতা, সদ্য যারা মায়ের কোলে।
যুদ্ধ যেন ঠাকুরদাদার কণ্ঠে দুখের গল্প-গাথা
কান্না হাসির জলস্রোতে সহস্র শব রক্তমাখা
গোলা-বারুদ, কামান আগুন, সর্বনাশের প্রগলভতা
শান্তি সুখের বীজমন্ত্রে লুকিয়ে আছে স্বাধীনতা।
যুদ্ধ আজও সবাই করে প্রতিদিনের চলার পথে
পরিশ্রমের লাল পতাকা, স্বাধীনতার বিজয় রথে।
জন্ম-মৃত্যু জোয়ার ভাটায় জীবন যেন স্রোতস্বিনী
উড়িয়ে নিশান, জ্বালবে আলো লক্ষ-কোটি অনীকিনী।
যাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে নানান ছবি, শব্দেরা কথা কয়; তিনি হলেন কবি প্রিয়াংকা রায়। জন্ম ১৯৮৪ সালে কলকাতা শহরে। তাঁর বাল্যকালের অনেকটা সময় কেটেছে শান্তিনিকেতনে আর কিছুটা সময় কলকাতায়। বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবনে আবাসিক ছাত্রী হিসাবে, এরপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য বেশ কিছু খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সৌভাগ্য হয় তাঁর। এগুলির মধ্যে ডব্লুবিইউটি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। তিনি একাধারে এম টেক পাঠ সম্পূর্ণ করেন এবং পরবর্তীতে রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন। কবি শ্রীমতী রায় বর্তমানে বোলপুরের বাসিন্দা এবং শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন।
এরই সঙ্গে তিনি ভালোবাসেন সংগীত চর্চা, হাতেরকাজ, সেলাই, খেলাধুলা প্রভৃতি। তাঁর কথায়, "লিখতে গেলেই মনে হয় বিশালত্বের পাশে ক্ষুদ্রের চিত্রলিপি।" ছেলেবেলায় পাঠভবনের শিক্ষা ও পরিবেশ তাঁর আত্মকথনের সাহস। পাঠভবনের সাহিত্যসভা ও নানা অনুষ্ঠানের হাত ধরে একটু একটু করে লিখতে শেখা, মনের ভাব পেন্সিলের আঁকিবুকিতে খাতায় ফুটিয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে যে অভ্যাসের সূচনা হয়েছিল আজও সেই সাধনা তাঁর অব্যাহত রয়েছে। সেই ছবিই ফুটে উঠেছে নবতরু ই-পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর বিভিন্ন কবিতায়।
Agia Jak sobai januk amar gorbo baruk khokono aka bosa vabbo amra ak songa kaj korchilam.