শব্দটার পরিসর বৃহৎ হলেও আটকে গেছে;
আটকে গেছে কাঁটাতারের সীমানায়,
আটকে গেছে ধর্মান্ধতায়, আটকে গেছে বৈষম্যে,
আটকে গেছে মিনি স্কার্টের মাপে, আটকে গেছে ফ্রীজের ঠান্ডায়,
আটকে সেন্সরের কাঁচিতে, আটকে গেছে লেখকের কলমে,
আটকে গেছে সাধারণের গলায়, রাজনীতির পাশায়,
আটকে গেছে ত্রাসের ব্যবসা, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়
আটকে গেছে মহামারির পাঞ্জায়, মানুষের সংকীর্ণ ভাবনায়
হয়ত বা আটকে গেছে আরও কোথাও, হ্যাঁ, স্বাধীনতা―
শব্দটার বৃহৎ পরিসর ছোটো হতে হতে আটকে গেছে।
তবু স্বাধীনতা এখনও চেষ্টা করছে, চেষ্টা করছে―
সীমান্তে পাহারাদার জওয়ানের গরম রক্তে,
চেষ্টা করছে ছাত্র যৌবনের বাঁকে বাঁকে,
চেষ্টা করছে সেলুলয়েডের পর্দায়, উপন্যাসের পাতায়
চেষ্টা করছে কয়েকটা দেশাত্মবোধক গানে, প্রভাতফেরিতে
চেষ্টা করছে দলিতের ডুকরে ওঠা হাহাকারে, চেষ্টা করছে―
কিছু বেওয়ারিশ লাশের বন্ধ চোখের পাতায়,
দিনমজুরদের অধিকারটুকু ছিনিয়ে নেওয়ার স্পর্ধায়,
প্রেমের হার না-মানা মনোবলে, বুদ্ধিজীবীদের ইন্টেলেকচুয়াল
আলোচনায়, মধ্যবিত্তের হঠাৎ করে গর্জে ওঠা প্রতিবাদে,
চেষ্টা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়,
স্বাধীনতা চেষ্টা করছে; চেষ্টা করছে তার পরিসর বাড়িয়ে যাওয়ার।
তাই একটু চেষ্টা আমাদেরও থাক, সশব্দে কিংবা নিঃশব্দে,
স্বাধীনতাকে আর একটু জায়গা করে দেওয়ার,
শুধু একটু চেষ্টা।
নবতরু ই-পত্রিকার একদম জন্মলগ্ন থেকে নিয়মিত লেখালেখির সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাঁদের মধ্যে লেখক জিৎ সরকার অন্যতম।
১৯৯৭ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এরপর বাল্যকাল এবং বড়ো হয়ে ওঠা নদীয়ার করিমপুরে। স্থানীয় করিমপুর জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়ে কৃষ্ণনাথ কলেজে জীববিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
বর্তমানে করিমপুরেই থাকেন পেশায় ও নেশায় ছাত্র জিৎ সরকার। একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন লেখালেখির কাজও।
জীববিদ্যাতে প্রথমশ্রেণিতে স্নাতক জিৎ সরকারের শখ প্রধানত লেখালেখি করা তছাড়াও বই পড়া, গান শোনা
সিনেমা দেখা, রান্না করা, পুরোনো ইতিহাস ঘাটাঘাটি করা প্রভৃতিতেও উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। তাঁর লেখালেখির জীবন শুরু কবিতা দিয়ে। তারপরেও কিছু কবিতা লেখা হয়েছে। তার মধ্যে কিছু সোস্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। দুটি কবিতা দুটি ওয়েব ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি চলছে সমান তালে। এছাড়া ছবি আঁকা, ক্রিমিনোলজি সর্ম্পকে ধারনা প্রভৃতি বিষয়েও বিশেষ দক্ষ তিনি। তীক্ষ্ণ স্মৃতিধর জিৎ সরকারের লেখায় বুদ্ধিদীপ্তের ছাপ পরে লেখার পরতে পরতে।
Khub Sundar hoyeche