শেন নদীর দুপারে ২০টি জেলা এবং জনবসতি নিয়ে অবস্থিত প্যারিস। ছবির মতোই সুন্দর প্যারিস। ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার নীল জল আর আকাশ। পল্যুশন শব্দটা ভুলেই গেছি। ক্রুজ থেকে নেমে বাসে তারপর সেখান থেকে হোটেলে উঠে ফ্রেশ হয়ে বেরোলাম। প্যারিস, ফ্রান্সের রাজধানী আর তার ধূলিকণায় লেখা নেপোলিয়নের বিজয়গাথা। প্রথমেই যা দেখে স্তম্ভিত হলাম, তা জয়ের স্মারক আর্ক দ্য ট্রায়াম্ফ। ঝকঝকে তকতকে পিচ রাস্তার মাঝখানে সুদৃশ্য মনুমেন্ট। বিজয় দম্ভ। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। আরও কিছু জায়গা ঘুরে সটান পৌঁছে গেলাম আইফেল টাওয়ার। রাতের আলোকসজ্জার নানা রঙের আলোর বিচ্ছুরণে আইফেল এর রূপ দেখে মোহিত হয়েছি বললে কম বলা। এ সৌন্দর্য বর্নণাতীত। মুগ্ধ হয়ে দেখতে দেখতেই দেখি কত ছোট ছোট নাচের ট্রুপ নানা ভঙ্গিতে দল বেঁধে পারফর্ম করছে। কাকে ছেড়ে কাকে দেখি! কিছুক্ষণের জন্য ভুলেই গেছিলাম যে আমি ভারতের বাইরে। আইআইটি-র ওপেন এয়ার থিয়েটারে এসেছি মনে হচ্ছিল। সময় বাঁধা তাই ঝাঁকের কৈ আবার ঝাঁকেই ফিরে উঠলাম বাসে। রাতের প্যারিস দেখছি তখন। হঠাৎই ট্যুর ম্যানেজার বললো, “have a look, Notre Dame গির্জা।”

চেঁচিয়ে উঠে বলি, “সে কি! নামব না? সেই স্কুলের বইয়ে পড়া hunchback of Notre Dame, আমি এখন সেই জায়গায়, একটু সময়ের জন্য নামতে দিন।”
কিন্তু তার কড়া আদেশ নামা যাবে না only because এটা panoramic tour এর মধ্যে। কিন্তু বাসটা বার দুই প্রদক্ষিণ করেছিল গির্জাকে। একটা অদ্ভুত শিহরণ অনুভব করেছিলাম সেদিন। পরে যখন Notre Dame গির্জা আগুনে ভস্মীভূত হয় তখন দুঃখ পেয়েছি আরও বেশি। আর দেখা হবে না কখনও।
ডিনার সেরে পৌঁছে গেলাম ঝাঁ চকচক হোটেল। রাতে বিশ্রাম নিয়ে কাল আবার দেখব প্যারিস দিনে।