ঘাসের মতো হলে পদানত হয়েই থাকতে হবে,
তার চেয়ে কাঁটাঝোপ হওয়া ভাল
অন্তত প্রতিবাদের অক্ষমতার আফসোস থাকে না।
মাটির মতো হলে জড়বৎ হয়েই থাকতে হবে,
তার চেয়ে নুড়িপাথর হওয়া ভাল
অন্তত পথিকের পায়ের সাথে কম্পিত হওয়া যায়।
ঢেউয়ের মতো হলে তীরে এসে ভেঙে পড়তেই হবে,
তার চেয়ে হিমশৈল হওয়া ভাল
অন্তত ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্বের দুঃখ থাকে না।
নক্ষত্রের মতো হলে অবিরাম জ্বলতেই হবে,
তার চেয়ে চাঁদ হওয়া ভাল
অন্তত রাতের অন্ধকারে স্নিগ্ধ আলো বিতরণের গর্ব থাকে।
রাত্রির মতো হলে সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই মিলিয়ে যেতে হবে,
তার চেয়ে প্রত্যুষ হওয়া ভাল
অন্তত অল্প আলোর আভাসের মধ্যে উজ্জ্বলতার প্রকাশ থাকে।
মেঘের মতো হলে পরনিয়ন্ত্রিত হয়েই উড়ে যেতে হবে,
তার চেয়ে আকাশ হওয়া ভাল
অন্তত অসীম পর্যন্ত বিস্তার লাভ করা যায়।
বাতাসের মতো হলে স্বেচ্ছাহীন বয়ে যেতেই হবে,
তার চেয়ে দখিণাবায়ু হওয়া ভাল
অন্তত শুষ্ক হৃদয়ে আনা যায় শীতলতার স্পর্শ।
১৯৮২ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় কবি কনকজ্যোতি রায়ের জন্ম। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশায় শিক্ষক কনকজ্যোতি রায় অবসর সময়ে ভালোবাসেন বই পড়তে ও লেখালেখি করতে। তারই ফসল তথ্যকেন্দ্র, সময়, শিক্ষা ও সাহিত্য, ইরাবতী, অবেক্ষণ, কিশলয়, নবপ্রভাত, কথালহরী, বাংলার লেখা, কিশোর বিজ্ঞানী প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশ।
স্বপ্নারা দুই বোন এক ভাই। স্বপ্না,গীতা ও ভাই রাম। স্বপ্নার মা পারহাটি স্কুলের এসকটের কাজ করে। মেয়েদের স্কুলে পৌঁছানো আর ছুটি হলে নিয়ে আসা। এছাড়া পারহাটির অনেক মন্দিরের পূজার জোগাড়, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে ওর মা। এইসব সাত-পাঁচ করেই স্বপ্নাদের সংসার চলে যায়। ওর দিদি গীতা কিছু সেলাই-ফোড়াই, টিউশন করে। ভাই রাম ছোট, প্রাইমারিতে পড়ে