ইচ্ছে করে যখন তোমাকে কষ্ট দিই
আমারও ভীষণ কষ্ট হয়।
আবেগের শব্দপুঞ্জেরা ভিড় করে বুকের অলিন্দে।
রাতের পর রাত জেগে রই
ঘুম আসে না,
একসময় জোনাকিরা নিভে যায় রাত গভীরে।
তোমাকে কাঁদিয়ে ছুটে যায় যখন
ততক্ষণে তুমি বৈশাখের কোনও এক বিকেলের কালবৈশাখীর ঝড়ে দুঃসময়গুলোকে উড়িয়ে দিয়ে
কাশফুলের দোল খাওয়া আশ্বিনের
ভোরের শিশির ভেজা শিউলি তলায়
কুড়িয়ে নিচ্ছিলে আমাকে পাওয়ার স্বপ্ন।
যে চোখে নেমেছিল কালোমেঘের শ্রাবণ
সেই চোখে পলাশরাঙা বসন্ত।
চাইছিলে আমার নীল শাড়ির আঁচল
ছুঁয়ে যাক তোমার মুখাবয়ব।
যাতে তুমি হয়ে উঠবে অনন্তকালের প্রেমযোগী।
সম্মুখে যখন আমি তোমার
তুমি হলে আমাতে বিলীন
কিন্তু তখন দগ্ধ তুমি দীর্ঘ বিচ্ছেদ যন্ত্রণার দেহাগ্নিতে,
আমি উষ্ণ ঠোঁটে কপালে তোমার ছুঁয়ে দিলাম
অমর প্রেমের সঞ্জীবনী।
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।