সেদিন হঠাৎ পড়তে বসে শুনছি আমি একি!
স্বপ্নটা কী সত্যি হল, স্কুল খুলবে নাকি?
লাফিয়ে উঠে শুনলাম গিয়ে বলছে টিভিতে
শিশু থেকে অষ্টম এবার পারবে স্কুলে যেতে!
দুবছরের অপেক্ষার আজ হল অবসান
স্কুল বিল্ডিংগুলো আবার ফিরে পাবে প্রাণ।
শিক্ষকরা আবার পাবেন ছাত্রদেরকে কাছে
তবুও কিছু প্রশ্ন আছে আমার মনের মাঝে।
স্কুলের মাঠের হুটোপুটি পাব কি আর ফিরে?
গল্প শোনার আবদারেতে ধরব ম্যামকে ঘিরে?
বন্ধু সবাই বসতে পাব আবার আগের মত?
স্কুল গিয়ে কি মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব?
এমন কিছু উত্তর যে আজও অজানা,
স্কুলের মজাকে তাহলে কি কোভিড করবে মানা?
বীরভূম জেলার নানুর থানার নূতনগ্রামে ২০০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন অন্বেষা মণ্ডল। শৈশব কেটেছে গ্রামের বাড়িতেই। স্থানীয় নিবেদিতা শিশু শিক্ষা নিকেতনে পড়াশুনা করে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন বোলপুরের সেন্ট টেরেসা স্কুলে। বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অন্বেষার শখ গল্পের বই পড়া, গোয়েন্দার গল্প বিশেষ পছন্দের। পড়াশুনার সঙ্গে কবিতা ও গল্প লিখতেও বেশ পটু তিনি। এছাড়া ছবি আঁকতেও ভালোবাসেন। অবসর সময়ে দাদুর সঙ্গে সাহিত্য বিষয়ক আলোচনাতেও মশগুল থাকেন অন্বেষা।
নব্য সাহিত্যিক অন্বেষার লেখালেখির প্রতি আগ্রহ সঞ্চার হয় দাদুর অনুপ্রেরণায়। মাত্র তিন বছর বয়সে 'উন্মোচন' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কবিতা। পরপর আরও কতকগুলি কবিতা ওই পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে তিনি আরম্ভ করেন ছোটগল্প লেখা; এরমধ্যে রহস্য গল্পই প্রধান। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আবৃত্তি-পাঠেও বেশ দক্ষ তিনি। বর্তমানে নবতরু ই-পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকে তিনি যুক্ত আছেন।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চারিদিক কুয়াশার চাদরে সাদা হয়ে গেছে। সকালে স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। মা বলে “সনু আজকের দিনটা স্কুলে যাও, গাড়িতে যাবে মজা হবে।” বাবা বলল, “নিচে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।”