তুমি আমি দিগগজ নই, ভেতর পুরো ফাঁকা
উপরটাতে গেট আপ দিয়ে আচ্ছা করে ঢাকা।
মুখোশ পরে ঝুম আঁধারে চুপটি করে রই
কে বা জানে আমিই যদি পরের বলি হই?
শালিক কোকিল ময়না ফিঙে শতেক পাখির দল
ভোরের থেকে সন্ধে মাখে ডাকেও অনর্গল।
আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা বৃষ্টি বাদল বান
উহ্য সবই মিডিয়াতে বাঁধা চোখ আর কান।
ভোরের সূর্য রাতের চাঁদ আর গোধূলির ওই আলো
ছোট্ট মেয়ের আঁচল ছোঁয়া ডাক, মা প্রদীপ জ্বালো।
রাতের গাছে জোনাক জ্বলে ডাকছে ঝিঁ-ঝিঁ পোকা
একঘেয়েমি গ্রাস করেছে ঘুমোয় খুকি খোকা।
আমার এখন কিচ্ছুটি নেই বন্ধ বাড়ির দ্বার
আনছে স্মৃতি ফসল খাওয়া ছাগল গোরু খোঁয়াড়।
যদিও স্মৃতি অসুস্থ খুব হারিয়ে দিচ্ছে খেই
সেই সে মৃত্যু যে মৃত্যুতে শ্মশান বন্ধু নেই।
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।
পত্রিকার পাতায় আমার কবিতাটি দেখে আমি সত্যিই আনন্দিত ও আপ্লুত। উত্তরোত্তর পত্রিকার শ্রীবৃদ্ধি