পাড়ায় ছোটখাটো মাস্তানি করতে করতে ক্লাব সেক্রেটারি। পার্টির নেতাদের নেকনজরে কাউন্সিলর থেকে এমএলএ। মৌরুসীপাট্টার দোপাট্টা গলায় বারো পাশ শ্রীমান রতন সমাদ্দার।
কাজের সাথে বাড়ল কুকাজ। এখন প্রতি রাত রঙিন হয় ভিন্ন ভিন্ন নারীভোজে। যোগানদার জুটেই যায়।
সুবল বাবুর ছোট ছেলে সুমন সদ্য বিবাহিত। সুন্দরী বউ। বড় ছেলে বাবলুর সমস্যা তার শরীরে নারী স্বত্তা বেশি। মহিলা চরিত্রে অভিনয় করে যাত্রা দলে কিন্তু পাড়ার কেউই জানে না সেকথা। অবিবাহিত সে।
অদৃশ্য ফরমান এসেছে সুবলবাবুর বাড়ি। নতুন বউ নজরানা হবে নেতার। সকলে দুশ্চিন্তায়। বাবলু এগিয়ে আসে।
বাবাকে বলে, “বউ সেজে আমি যাব বাবা, তারপর দ্যাখো…”
বাবার মৌন সম্মতি।
বউ সেজে বাবলু রাতের অন্ধকারে গাড়িতে।

মা কপালে জোড়হাত ঠেকিয়ে বলেন, “দুগ্গা দুগ্গা, মঙ্গল করো মা সবার।”
আলোআঁধারি ঘরে ফুরফুরে সেন্টের গন্ধ ছড়িয়ে ঢুকলো নতুন মেয়ে।
রঙিন গেলাস ততক্ষণে নেশায় ডুবিয়েছে নেতাকে। ঢুলুঢুলু চোখে জিভ জড়িয়ে আসছে। কোনও রকমে বললেন… না না, জাপটে ধরলেন।
এক এক করে খুলে গেল বাস, বাইরের অন্তরের। একি !! চমকে চেঁচিয়ে ওঠেন শ্রীমান। “কে তুমি?”
মুখের উপর নিঃশ্বাস ফেলে নারী, পুরুষ কণ্ঠে বলে, “আমি বাবলু, পুরুষ খাঁচায় নারীমন। চেঁচামেচি করলেই বাইরে বেরিয়ে সবাইকে সব বলে দেব। টিভি মিডিয়া…”
—”না না, কাউকে কিছু বলতে হবে না, তুমি যাও।”
—”বেশ, ভোর হবার আগেই আমি চলে যাব, আর কোনো বউ মেয়ের সম্ভ্রমে যেন চোখ না পড়ে। তাহলেই সব ফাঁস করে দেব। সমস্ত ঘটনা এবং এখানে আসার ভিডিও আমি বাল্ক মেসেজ করেছি বন্ধুদের। প্রতিপক্ষের কাছে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে।”
সাপের মাথায় গাছড়া। চুপসে গেলেন শ্রীমান নেতা।
সেই থেকে ওনার নারীভোজ বন্ধ। পাড়ায় শান্তি।।