Recent Post

সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

যখন আষাঢ় আকাশে নববর্ষার ঘনঘটা, চারিদিকে ঘনঘোর মেঘপুঞ্জ, কালো হয়ে আসা পুকুরের জলে সাদা হাঁসের দল সাঁতার কাটে উল্লাসে, তখন এই ‘নবতরু’ প্রকৃতির খুশিতে তালমিলিয়ে সাহিত্যরস সিঞ্চণে মত্ত। এ-যেন এক অকৃত্রিম ভালোলাগা—খুশির আবেশ। আষাঢ়ের প্রথম দিনের মেঘ যেমন দূত হয়ে বিরহিণীর কাছে খবর পৌঁছে দিত কালিদাসের যুগে তেমনই আমাদের সমস্ত ভালোলাগা মন্দলাগার স্মৃতি বাদল হাওয়ায় ভেসে আসে আজও মেঘের সঙ্গে সুদূর দিগন্ত থেকে। গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে জলভারাবনত মেঘের দিকে চেয়ে মন চঞ্চল হয়ে ওঠে। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুষ্ক ধরার বুকে নেমে আসে তৃপ্তির বর্ষণ। সারাদিন অলসতায় কেটে যায় দিন, বৃষ্টির অছিলায় বাইরে না-গিয়ে জানলা দিয়ে দেখি ভেসে আসা কালো পুষ্ট মেঘরাশিকে। মনখারাপের মেঘও যেন তারপর অজান্তেই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।

একরাশ ভেজা বেলিফুলের গন্ধে সূচিপত্র তৈরি হয়। কবিতারা ভিড় করে আসে ডকুমেন্ট জুড়ে। আঙুলের নিঃশব্দ আনাগোনায় জমাট বাঁধে কথা। স্যাঁতসেতে হাওয়ায় গল্পের পিঠে গল্প বুনে আলগা চাদরে আরাম খোঁজে শরীর…রাত্রি গভীর হয়…বেগ বাড়ে বৃষ্টির। নববারিধারায় সুপ্ত বীজ থেকে অঙ্কুরিত হয় নবতরু। ডালপালা মেলা ভালোলাগার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে সারা টাচপ্যাডময়। সৃষ্টি হয় আরও একটি নূতন সংখ্যার।

Author

  • Barun@Mukherjee

    নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।

3 thoughts on “সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

    1. মাঠের শেষে শ্যামল বেশে ক্ষণেক দাঁড়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

    এবারের সংখ্যাটি সাজানো হয়েছে মূলত গরমের ছবিটিকেই তুলে ধরার উদ্দেশ্যে।

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
    সম্পাদকীয়

    সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

      এবছর এপ্রিল মাসের শুরুতেই অর্থাৎ চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল বাংলার জনজীবন। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রেহাই নেই গাছপালা-সহ সকল জীবজগতের। তীব্র দহনে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাশাপাশি রাজ্য। তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। তবুও কাজ তো থেমে থাকে না। রুটিরুজির সন্ধানে বেরিয়ে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষের আবার কী শীত কী গ্রীষ্ম! টিকিফাটা রোদেও চলছে কাজ। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে মরসুমি ফল, ঠাণ্ডা পানীয়—যদি একটু স্বস্তি পাওয়া যায়!

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
      সম্পাদকীয়

      সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

        মার্চ মাস শেষ হতে চলল অথচ পত্রিকার নতুন সংখ্যার দেখা নেই—এমনটা যারা ভাবছেন তাঁদের উদ্দেশে বলি—আপনাদের জন্যই নবতরুকে নতুন নতুন রূপে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করে।

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন