সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
যখন আষাঢ় আকাশে নববর্ষার ঘনঘটা, চারিদিকে ঘনঘোর মেঘপুঞ্জ, কালো হয়ে আসা পুকুরের জলে সাদা হাঁসের দল সাঁতার কাটে উল্লাসে, তখন এই ‘নবতরু’ প্রকৃতির খুশিতে তালমিলিয়ে সাহিত্যরস সিঞ্চণে মত্ত। এ-যেন এক অকৃত্রিম ভালোলাগা—খুশির আবেশ। আষাঢ়ের প্রথম দিনের মেঘ যেমন দূত হয়ে বিরহিণীর কাছে খবর পৌঁছে দিত কালিদাসের যুগে তেমনই আমাদের সমস্ত ভালোলাগা মন্দলাগার স্মৃতি বাদল হাওয়ায় ভেসে আসে আজও মেঘের সঙ্গে সুদূর দিগন্ত থেকে। গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে জলভারাবনত মেঘের দিকে চেয়ে মন চঞ্চল হয়ে ওঠে। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুষ্ক ধরার বুকে নেমে আসে তৃপ্তির বর্ষণ। সারাদিন অলসতায় কেটে যায় দিন, বৃষ্টির অছিলায় বাইরে না-গিয়ে জানলা দিয়ে দেখি ভেসে আসা কালো পুষ্ট মেঘরাশিকে। মনখারাপের মেঘও যেন তারপর অজান্তেই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।

একরাশ ভেজা বেলিফুলের গন্ধে সূচিপত্র তৈরি হয়। কবিতারা ভিড় করে আসে ডকুমেন্ট জুড়ে। আঙুলের নিঃশব্দ আনাগোনায় জমাট বাঁধে কথা। স্যাঁতসেতে হাওয়ায় গল্পের পিঠে গল্প বুনে আলগা চাদরে আরাম খোঁজে শরীর…রাত্রি গভীর হয়…বেগ বাড়ে বৃষ্টির। নববারিধারায় সুপ্ত বীজ থেকে অঙ্কুরিত হয় নবতরু। ডালপালা মেলা ভালোলাগার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে সারা টাচপ্যাডময়। সৃষ্টি হয় আরও একটি নূতন সংখ্যার।
আষাঢ়, কোথা হতে আজ পেলি ছাড়া?
মাঠের শেষে শ্যামল বেশে ক্ষণেক দাঁড়া