প্রকাশিত হল নবতরু ই-পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষের দশম সংখ্যা। এই দু’বছরে প্রতি মাসে নিরবচ্ছিন্নভাবে পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকা তার কলেবরে বেড়েছে, যুক্ত হয়েছেন শতাধিক লেখক-লেখিকা।
প্রতি সংখ্যাতেই এসেছে নতুন মুখ। অনেকদিন ধরে লেখালেখি করছেন এমন অভিজ্ঞ লেখকদের পাশাপাশি এসেছেন অনেক আনকোরা লেখকও। সকলের প্রত্যাশা পূরণে নবতরু বদ্ধপরিকর। সকলের চিন্তাভাবনা ও সৃজনশীলতাকে তুলে ধরতে আমরা সচেষ্ট। লেখালেখির অভ্যাসকে বজায় রাখতে এবং নিত্য নতুন সাহিত্যরসে সিঞ্চিত হতে এখানে ডুব দিতেই পারেন। নবতরুর দরজা এইরকম সমমনস্ক মানুষের জন্য সবসময়ই খোলা থাকবে।
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।
এবছর এপ্রিল মাসের শুরুতেই অর্থাৎ চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল বাংলার জনজীবন। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রেহাই নেই গাছপালা-সহ সকল জীবজগতের। তীব্র দহনে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাশাপাশি রাজ্য। তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। তবুও কাজ তো থেমে থাকে না। রুটিরুজির সন্ধানে বেরিয়ে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষের আবার কী শীত কী গ্রীষ্ম! টিকিফাটা রোদেও চলছে কাজ। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে মরসুমি ফল, ঠাণ্ডা পানীয়—যদি একটু স্বস্তি পাওয়া যায়!
মার্চ মাস শেষ হতে চলল অথচ পত্রিকার নতুন সংখ্যার দেখা নেই—এমনটা যারা ভাবছেন তাঁদের উদ্দেশে বলি—আপনাদের জন্যই নবতরুকে নতুন নতুন রূপে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করে।