Recent Post

সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

দেখতে দেখতে নবতরু ই-পত্রিকার এক বছর পূর্ণ হল। একদিকে শারদীয়া দুর্গোৎসবের আয়োজন তো অন্যদিকে কোভিডের চোখরাঙানি। এই সবের মাঝে আমাদের পত্রিকা যেমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল, এখনও ঠিক তেমনভাবেই চলছে। শরৎঋতু চিরকালই নতুন কিছু করার সময়। পূর্বে রাজারাজরা এই সময়কে বেছে নিতেন বাণিজ্যে যাওয়ার জন্য। সারা বছর ধরে সকলেই মুখিয়ে থাকেন এই সময়টার জন্য। আমবাঙালি তার প্রিয় দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন। সকলেই যেন কিছুটা বাড়তি অক্সিজ়েন সঞ্চয় করে নেন এই সময়। দিনকয়েক ছুটি কাটাতে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। পাহাড় হোক বা সমতল, জঙ্গল হোক বা সমুদ্র প্রকৃতি যেন এই সময়টায় বেশি করে হাতছানি দেয়। তাকে উপেক্ষা করে সাধ্য কার?

নবতরু-ই-পত্রিকা
নবতরু-ই-পত্রিকা

মনুষ্যজীবনে উঠানামা থাকলেও প্রকৃতিজীবন কিন্তু অবিচল। যেমন গরমে তীব্র দাবদাহ, বর্ষায় অবিরাম বৃষ্টিপাত তেমনই শরতে শিউলি-কাশের মেলা। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সকলেই কমবেশি সমস্যাকীর্ণ তবুও ভালো থাকার ইচ্ছায় সকলেই সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন; আমরাও তার ব্যতিক্রম নই। সকলের মন ভালো রাখার উদ্দেশ্যে প্রতি সংখ্যার মতো এবারেও তুলে ধরেছি নতুন কিছু বিষয়। বহুদিন ধরে লেখালেখি করছেন এমন লেখকদের পাশেই থাকছে একেবারে নতুন লেখকদের লেখাও। আশা রাখি এবারের সংখ্যা আরও বেশি সংখ্যক মানুষ পড়বেন। পাঠকদের মতামতকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি, সেইকারণে সকল পাঠকের কাছে আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, আপনারা লেখাগুলি পড়ুন ও নির্দ্বিধায় মন্তব্য করুন, আপনার গঠনমূলক মন্তব্য লেখকসহ পত্রিকাকেও সমৃদ্ধ করবে এটাই আশা রাখি।

সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। করোনাবিধি মান্য করে পুজোর আনন্দে সবাই মেতে উঠুন আর নবতরু ই-পত্রিকা আপনারা প্রাণ ভরে পড়ুন ও মন খুলে লিখুন।

ঋণ স্বীকার – আমাদের পত্রিকায় ব্যবহৃত ছবিগুলির জন্য আমরা ইন্সটাগ্রাম, গেটি-ইমেজেস, বিভিন্ন সাইট ও ব্যক্তিগত ভাবে অনেকের কাছে ঋণী। এদের সকলকে নবতরু-ই-পত্রিকার তরফ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।

Author

  • Barun@Mukherjee

    নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।

3 thoughts on “সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

  1. অসাধারন
    খুব ভালো লাগলো…
    আপনি আরও ভালো ভালো কাজ করুন আমাদের এই সমাজের জন্য।

  2. সম্পাদকীয়টি ভালো লাগলো। সম্পাদকের জন্য অনেক অনেক শুভ প্রত্যাশা রইলো এবং নবতরু ই পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য প্রত্যাশা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

    এবারের সংখ্যাটি সাজানো হয়েছে মূলত গরমের ছবিটিকেই তুলে ধরার উদ্দেশ্যে।

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
    সম্পাদকীয়

    সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

      এবছর এপ্রিল মাসের শুরুতেই অর্থাৎ চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল বাংলার জনজীবন। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রেহাই নেই গাছপালা-সহ সকল জীবজগতের। তীব্র দহনে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাশাপাশি রাজ্য। তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। তবুও কাজ তো থেমে থাকে না। রুটিরুজির সন্ধানে বেরিয়ে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষের আবার কী শীত কী গ্রীষ্ম! টিকিফাটা রোদেও চলছে কাজ। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে মরসুমি ফল, ঠাণ্ডা পানীয়—যদি একটু স্বস্তি পাওয়া যায়!

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
      সম্পাদকীয়

      সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

        মার্চ মাস শেষ হতে চলল অথচ পত্রিকার নতুন সংখ্যার দেখা নেই—এমনটা যারা ভাবছেন তাঁদের উদ্দেশে বলি—আপনাদের জন্যই নবতরুকে নতুন নতুন রূপে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করে।

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন