বেশ কয়েক মাস পর প্রকাশিত হতে চলেছে নবতরু ই-পত্রিকার তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সংখ্যা। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে কিছুদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল পত্রিকা প্রকাশের কাজ। আশাকরি আবার পুরনো মেজাজেই দেখা যাবে পত্রিকাটিকে। যদিও এইসময় আকাশে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ, তবুও কাজ ফেলে রাখা একেবারেই না-পসন্দ। শরৎ শেষে হেমন্তের আগমনকালে এই সংখ্যাটি একটু বেমানান হলেও আমরা নিশ্চিত যে আপনাদের পড়ে ভালো লাগবে। এই জুন-২০২৩ সংখ্যাটিকে বাদল সন্ধ্যার একটি ডিজিটাল উপহার বলতে পারেন। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর ভেজা হাওয়ার খুশিকে সঙ্গী করে এককাপ চা হাতে নিয়ে বসে পড়া যায় হাতের কাছে থাকা স্মার্ট ফোনটিকে নিয়ে। নিমেষে পড়ে ফেলা যায় একের পর এক কবিতা, ছড়া, গল্প। মনের কোণে জমে থাকা মেঘ দূর হয়ে যাক সকলের। বর্ষার পল্লি-প্রকৃতির মতো প্রাণ ফিরে পাক সকলেই। বৃষ্টি ভেজা গাছগুলির সবুজ স্নিগ্ধ পাতার পরশ লাগুক দেহ মনে। নবতরুর প্রতিটি লেখা পাঠকের স্পর্শে জীবন্ত হয়ে ওঠুক। হেমন্তের শিশিরে মিশে যাক ভালোবাসাটুকু।
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।
এবছর এপ্রিল মাসের শুরুতেই অর্থাৎ চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল বাংলার জনজীবন। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রেহাই নেই গাছপালা-সহ সকল জীবজগতের। তীব্র দহনে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাশাপাশি রাজ্য। তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। তবুও কাজ তো থেমে থাকে না। রুটিরুজির সন্ধানে বেরিয়ে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষের আবার কী শীত কী গ্রীষ্ম! টিকিফাটা রোদেও চলছে কাজ। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে মরসুমি ফল, ঠাণ্ডা পানীয়—যদি একটু স্বস্তি পাওয়া যায়!
মার্চ মাস শেষ হতে চলল অথচ পত্রিকার নতুন সংখ্যার দেখা নেই—এমনটা যারা ভাবছেন তাঁদের উদ্দেশে বলি—আপনাদের জন্যই নবতরুকে নতুন নতুন রূপে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করে।