মার্চ মাস শেষ হতে চলল অথচ পত্রিকার নতুন সংখ্যার দেখা নেই—এমনটা যারা ভাবছেন তাঁদের উদ্দেশে বলি—আপনাদের জন্যই নবতরুকে নতুন নতুন রূপে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করে। তার জন্যই নতুন ভাবনারা ডানা মেলে; সেই ডানায় ভর ক'রে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে উঠি সকলে। আর এই সব ভাবনাগুলিকে জায়গা দিতেই পত্রিকা প্রকাশে দেরি হয়ে গেল এবার। পত্রিকার পক্ষ থেকে এমনটা হওয়া কাম্য নয়। আশা করি আগামী মাস থেকে আগের মতোই মাস পয়লা নতুন সংখ্যা নিয়ে হাজির হব আমরা।
খুব শীঘ্রই পত্রিকা পরিচালনার জন্য কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। অভিজ্ঞ লেখকদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের লেখকদের জন্য পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে— এটা আমাদের বিশ্বাস। তাই সেক্ষেত্রে লেখক-পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা কামনা করি। আপনাদের সুপরামর্শে পত্রিকা এগিয়ে চলুক। তৃতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশের প্রাক্কালে সকলকে বাসন্তী শুভেচ্ছা জানাই।
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।
এবছর এপ্রিল মাসের শুরুতেই অর্থাৎ চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল বাংলার জনজীবন। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রেহাই নেই গাছপালা-সহ সকল জীবজগতের। তীব্র দহনে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাশাপাশি রাজ্য। তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। তবুও কাজ তো থেমে থাকে না। রুটিরুজির সন্ধানে বেরিয়ে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষের আবার কী শীত কী গ্রীষ্ম! টিকিফাটা রোদেও চলছে কাজ। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে মরসুমি ফল, ঠাণ্ডা পানীয়—যদি একটু স্বস্তি পাওয়া যায়!