Recent Post

সম্পাদকীয়,ডিসেম্বর ২০২১

সম্পাদকীয় – বরুণ মুখোপাধ্যায়

এবছর বর্ষা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের অকাল বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত। সবথেকে নাজেহাল অবস্থা চাষিদের। বন্যার ভয়াবহতা কাটতে না কাটতেই আবারও বৃষ্টিপাত। ফসলের দফারফা। মাঠে আমন ধান পেকে গেলেও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মাঠ এখনও ভিজে থাকায় ধান কাটতে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বাদামি শোষক পোকা। এই পোকার আক্রমণে পাকা ধানের শিষ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আলু চাষেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। বৃষ্টিতে মাটির নিচে বসানো বীজ-আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে কৃষি নির্ভর বাংলায় এবছর লোকসান অনেকখানি। কৃষিকাজ ভালো না-হলে তার সার্বিক প্রভাব যে জনজীবনে পড়বে—একথা আর আলাদা করে বলার দরকার হয় না।

এদিকে অতিমারির ভয়কে সম্পূর্ণ জয় না-করলেও ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নবম শ্রেণি থেকে স্কুল খোলা হয়েছে। সকলেই এই দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে চান। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে প্রত্যেকেই কাজের জায়গায় ফিরে আসুক— এটাই এখন কাম্য। 

নভেম্বরের মৃদু শীতের আমেজে অনেকেই মেতে উঠেছে। দোকান বাজারে শীতকালীন পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানদার। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি। কাশ ঝরে গিয়ে শর ফুলের মেলা বসেছে রাস্তার দুই ধারে। আর এইসবের মধ্যে নবতরু তার আপন খেয়ালে দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখ্যা নিয়ে হাজির। তাই— আপনার সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে নবতরু অনেক আনন্দ দান করুক—এটাই চাই।

Author

  • Barun@Mukherjee

    নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।

One thought on “সম্পাদকীয়,ডিসেম্বর ২০২১”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

    এবারের সংখ্যাটি সাজানো হয়েছে মূলত গরমের ছবিটিকেই তুলে ধরার উদ্দেশ্যে।

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
    সম্পাদকীয়

    সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

      এবছর এপ্রিল মাসের শুরুতেই অর্থাৎ চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল বাংলার জনজীবন। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রেহাই নেই গাছপালা-সহ সকল জীবজগতের। তীব্র দহনে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গ ও পাশাপাশি রাজ্য। তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। তবুও কাজ তো থেমে থাকে না। রুটিরুজির সন্ধানে বেরিয়ে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষের আবার কী শীত কী গ্রীষ্ম! টিকিফাটা রোদেও চলছে কাজ। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে মরসুমি ফল, ঠাণ্ডা পানীয়—যদি একটু স্বস্তি পাওয়া যায়!

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়
      সম্পাদকীয়

      সম্পাদকীয়: বরুণ মুখোপাধ্যায়

        মার্চ মাস শেষ হতে চলল অথচ পত্রিকার নতুন সংখ্যার দেখা নেই—এমনটা যারা ভাবছেন তাঁদের উদ্দেশে বলি—আপনাদের জন্যই নবতরুকে নতুন নতুন রূপে প্রকাশ করতে ইচ্ছা করে।

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন