সম্পাদকীয় – বরুণ মুখোপাধ্যায়
এবছর বর্ষা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের অকাল বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত। সবথেকে নাজেহাল অবস্থা চাষিদের। বন্যার ভয়াবহতা কাটতে না কাটতেই আবারও বৃষ্টিপাত। ফসলের দফারফা। মাঠে আমন ধান পেকে গেলেও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মাঠ এখনও ভিজে থাকায় ধান কাটতে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বাদামি শোষক পোকা। এই পোকার আক্রমণে পাকা ধানের শিষ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আলু চাষেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। বৃষ্টিতে মাটির নিচে বসানো বীজ-আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে কৃষি নির্ভর বাংলায় এবছর লোকসান অনেকখানি। কৃষিকাজ ভালো না-হলে তার সার্বিক প্রভাব যে জনজীবনে পড়বে—একথা আর আলাদা করে বলার দরকার হয় না।

এদিকে অতিমারির ভয়কে সম্পূর্ণ জয় না-করলেও ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নবম শ্রেণি থেকে স্কুল খোলা হয়েছে। সকলেই এই দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে চান। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে প্রত্যেকেই কাজের জায়গায় ফিরে আসুক— এটাই এখন কাম্য।
নভেম্বরের মৃদু শীতের আমেজে অনেকেই মেতে উঠেছে। দোকান বাজারে শীতকালীন পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানদার। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি। কাশ ঝরে গিয়ে শর ফুলের মেলা বসেছে রাস্তার দুই ধারে। আর এইসবের মধ্যে নবতরু তার আপন খেয়ালে দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখ্যা নিয়ে হাজির। তাই— আপনার সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে নবতরু অনেক আনন্দ দান করুক—এটাই চাই।
One thought on “সম্পাদকীয়,ডিসেম্বর ২০২১”