Recent Post

সবটাই কি কাল্পনিক!  শান্তনু ভূঁইয়া

“আহা একটু শান্ত হয়ে বসুন না দাদা, কিছুক্ষণ পরে বৌদি নিশ্চয়ই খবরটা জানাবেন ” সৌভিকের উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তা দেখে কথাটা বলে উঠলেন পাশের টেবিলের রিনা ম্যাডাম। সৌভিক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ভালো পোস্টে চাকরি করে। চাকরির বাইরে ধ্যান জ্ঞান বলতে নিজের ছোট পরিবার। একমাত্র মেয়ে প্রমিতা। আদর,যত্ন যেমন সবটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছে তেমনি প্রয়োজনে কড়া শাসন করেছে। চারপাশে এত প্রতিযোগিতা, এত ভালো ভালো ছেলে মেয়ে তাদের মধ্যে থেকে সাফল্য পেতেই হবে। ইঁদুর দৌড় অথবা নম্বর পেয়ে কি হবে অথবা এখন তো সবেতেই দু নম্বরী, যে যাই বলুক সৌভিক জানে এর মধ্যে থেকেই লড়াই করতে হবে। টেস্টে নম্বরটা খারাপ ছিল না কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক বলে কথা! যতক্ষণ না পর্যন্ত রেজাল্ট হাতে পাওয়া যাচ্ছে নিশ্চিত হওয়া যায় না। বার পাঁচেক মেয়েকে ফোন করেছে, মেয়ে বলল অন লাইনে এখনো দেখায়নি নম্বর।

মনের ভেতর থেকে ছটফটানিটা কিছুতেই যাচ্ছে না। “ধুর একটু মোবাইলটা ঘাঁটি” বলেই ফেসবুক টা খুলে ফেলল সৌভিক। মিনিট পাঁচেক এদিক-ওদিক করতে করতে হঠাৎ মোবাইল পর্দায় ভেসে উঠলো একটা স্কুলের ছবি, দশ-বারোটি মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করতে না পেরে প্রিন্সিপালের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছে। একটি মেয়েকে রিপোর্টার ভদ্রমহিলা প্রশ্ন করায় মেয়েটির বক্তব্য “টেস্ট পরীক্ষায় আমরা সবাই ভালোভাবে পাস করেছি অথচ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আমাদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে ইচ্ছে করে। আমাদের পাস করাতেই হবে।” সৌভিকের মনে মনে বেশ রাগ হচ্ছিল “যতসব আদিখ্যেতা!” হঠাৎ চোখ আটকে গেল সৌভিকের। আরে!! প্রমিতা না! ওই যে বাঁদিকে তিন নম্বরে দাঁড়িয়ে। আরে! রিপোর্টার ভদ্রমহিলা প্রমিতার কাছে গিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করতেই মেয়ে বললো “নো কমেন্টস!” 

(ক্রমশ)

Author

  • শান্তনু ভূঁইয়া

    অধুনা পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল শহরে ১৯৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন কবি শান্তনু ভূঁইয়া। স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন হতে মাধ্যমিক ও হুগলি মহসিন কলেজ হতে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক স্তরের পাঠ সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি ভারতীয় রেলের অধীনে চন্দননগর স্টেশনে 'স্টেশন মাস্টার' পদে কর্মরত। অবসর সময়ে বই পড়া, খেলাধুলা ও বন্ধুদের সঙ্গে অরাজনৈতিক আলোচনা করতে পছন্দ করেন তিনি। হুগলি জেলার চুঁচুড়ার কবি শান্তনু ভূঁইয়ার বিভিন্ন লেখালেখি সাম্প্রতিক কিছু ই-পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আয়নাবন্দি: জিৎ সরকার (১/১২ পর্ব)
গদ্য- সাহিত্য গল্প ধারাবাহিক গল্প

আয়নাবন্দি: জিৎ সরকার

    গাড়িটা যখন বড়ো গেটের সামনে এসে দাঁড়াল তখন শেষ বিকেলের সূর্য পশ্চিমাকাশে রক্তাভা ছড়িয়ে সেদিনকার মতো সন্ধ্যেকে আলিঙ্গন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    অসুর মর্দন(একাদশ পর্ব): জিৎ সরকার
    গদ্য- সাহিত্য গল্প ধারাবাহিক গল্প

    অসুর মর্দন(একাদশ পর্ব): জিৎ সরকার

      ভিড়টা মোড়ের বাঁকে অদৃশ্য হতেই শ্রী ঘরের দিকে ফিরতে উদ্যত হল, হঠাৎ নীচের দরজায় আওয়াজ উঠল। বাধ্য হয়েই অভিমুখে বদলে শ্রী নীচে এসে দরজা খুলল। দেখল ঋজু দাঁড়িয়ে, মুখে একটা হাসি খেলছে। এই হাসিটা একদিন ফিরে এসে শ্রী কিন্তু লক্ষ্য করেনি

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      ধারাবাহিক গল্প

      অসুর মর্দন(১০ম পর্ব): জিৎ সরকার

        এতক্ষণে তমাল মুখের কঠিন রেখাগুলো অনেকটা সহজ হয়ে এসেছে, সে মৃদু হেসে বলে, “দ্যাখ পারব কি পারব না সেটা তো এখনি বলা যাচ্ছে না, তবে হ্যাঁ, একটা চেষ্টা করে দেখাই যাক, পরেরটা না-হয় পরেই বুঝে‌ নেব।

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন