সারাদিন চারদেয়ালে বন্দি থাকলেও প্রতিদিন দুপুরে আমার স্বাধীনতা
আমি সটান হাজির হই এই জগতে
ভালো লাগা না-লাগা আমিই ঠিক করে নিই
ছড়ি ঘোরানো সমাজ নামক লালচোখ এখানে কায়দা করতে পারে না
কালো বিড়াল রাস্তা কাটলেও বিপদের ভয় পাই না
ঠাকুর দেবতা তাবিজ কবজ..... নাহ্, ওসব বন্ধন থেকেও মুক্তি আমার এখানেই
একদল হাসিমুখ ঝিকমিক বন্ধুর মন ভাল করা উপস্থিতি অথচ কোনো কোলাহল নেই
পশ্চিমে হেলে যাওয়া সূর্য তেজ কমিয়ে আসে আমার জানলায়
স্মিত হেসে সেও সমর্থন করে আমার এই অবাক স্বাধীনতা
একসাথে হাত ধরে ঘুরতে থাকি আমরা
ছায়া পড়ে বন্ধুদের দেয়ালে
উঁকি মেরে যাই সবার অজান্তেই
যেখানে যেখানে আনন্দ আর ভালোবাসা পাই পোঁটলা করে বেঁধে নিই
অন্ধকার নামার আগেই ঘরে এসে খুলে বসি পোঁটলার সঞ্চয়
তারপর আঙুল বেয়ে নেমে আসা স্বাধীনতার ছাপ রেখে যাই.... এখানে
লেখিকা তুলি মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী ১৯৭০ সালে খড়্গপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক উত্তীর্ণ লেখিকা সাংসারিক কাজের ফাঁকেই লেখালেখির চর্চা করে যান। তাঁর ভালোলাগার বিষয়—বই পড়া, গল্প করা আর বেড়ানো।
তাঁর লেখার অভ্যাস স্কুল জীবন থেকেই শুরু হয়। গল্প, কবিতা লিখতে ভালো লাগে তাঁর। বহু পত্রিকাতে লেখা প্রকাশিত হয়ে চলেছে নিয়মিতভাবে। ২০১৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এমনই এক লেখা। সেই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তাঁর নিজস্ব সংকলন প্রকাশ পায় ২০১৯ সালে। এই সংকলনটি রাজভবন থেকে স্বয়ং রাজ্যপালের দ্বারা উন্মোচিত হয়।
কবিতার ভাবার্থ অনেক কিছুই ভাবিয়ে তোলে।
কবি কে ধন্যবাদ এত সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।