দেখতে দেখতে শ্রাবণের মেঘ হানা দিল,
গুরুগুরু শব্দে, আর টিপটিপ করে বর্ষণবিন্দুগুলি
ছাতের অ্যাসবেস্টস থেকে নীচে পড়ছে।
মাঝে-মধ্যে বিদ্যুৎও চেষ্টা করছে―
সবাইকে আচমকা হতাশাগ্রস্ত করে দিতে।
ভয় লাগে, খুবই ভয় লাগে...
বাড়িতে অন্ধকারাচ্ছন্ন গোধূলিতে আমি একা।
বাইরের কচুপাতাটির দিকে তাকিয়ে দেখি আর ভাবি―
আমিও যেন ওর মতোই একজনের স্পর্শ পেয়েছিলাম;
পাতাটি যেমন চেষ্টা করছে, জলের বিন্দু টাকে
ধরে রাখতে, কিন্তু পারে না!
জানো আমিও ঠিক এভাবেই তাকে
অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু পারি নি...।
কচুপাতা থেকে পিছলে পড়া জলকণার মতো
সেও আমায় ছেড়ে অন্য কারোর হৃদবাগিচায়―
প্রস্ফুটিত গোলাপের মালিনী হয়ে গেছে।
জানি, সে আর আসবে না
তবুও শ্রাবণের সোঁদা মাটির গন্ধে ভরা
পথটির দিকে চেয়েই থাকি...
একটা আলাদা আশ্বাস, এক অন্য অনুভূতি পাই!
লেখক পুপাই দাস ২০০২ সালে সাগরদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। মৌশুনী কো-অপারেটিভ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে শুরু হয় বিদ্যালয় জীবন। এরপর মনসাদ্বীপ রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে(২০২১) দেবনগর মোক্ষদা দীন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠরত। ভবিষ্যতে তিনি সংস্কৃত ভাষায় উচ্চ শিক্ষিত হতে চান।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রণব কুমার মুখোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় তাঁর কবিতা লেখার সূচনা হয়। আজ পর্যন্ত বেশ কিছু পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা বিভিন্ন কবিতা, গল্প প্রকাশিত হয়েছে।
তরুণ কবি পুপাই দাস ইতিমধ্যেই 'নবতরু ই-পত্রিকা'তেও লিখে ফেলেছেন বেশ কিছু কবিতা।
খুব সুন্দর হয়েছে পুপাই।