Recent Post

শান্তিনিকেতনের দিনিলিপি: শ্রীবাস বিষ্ণু

শান্তিনিকেতনের দিনিলিপি: শ্রীবাস বিষ্ণু

শান্তিনিকেতনে পুজোর ছুটি চলছে। পুজো না-বলে এখানে বলা হয় শারদীয় অবকাশ। কারণ আশ্রমে মূর্তিপুজোর চল নেই, মহর্ষি প্রতিষ্ঠিত আশ্রম নিরাকার এক ব্রহ্মের উপাসনার স্থল। সে কারণে শান্তিনিকেতন এখন নির্জন শান্ত, আশ্রমপ্রকৃতির রূপ গম্ভীর, মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে। যদিও বোলপুর-গোয়ালপাড়া যাতায়াতের প্রধান সড়ক যানবাহন ও মানুষের ভিড়ে ঠাসা। শান্তিনিকেতনের আশেপাশের শহর গ্রামের মানুষজন ক’দিন দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। মাতৃবন্দনায় উৎসব মুখর বোলপুরের মণ্ডপে মণ্ডপে যে মাস্ক-বিহীন জনজোয়ার লক্ষ্য করা গিয়েছে তাতে বর্তমানে করোনা আতঙ্ক সব মহলেই গভীর উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সম্প্রতি ইউনেস্কোর এক বিশেষ প্রতিনিধি দলের শান্তিনিকেতন আসবার কথা, রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত কিছু বাড়িঘর দেখে তাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করা যায় কিনা ভেবে দেখবেন। এ খবরে বেশ উৎসাহ দানা বেঁধেছে শান্তিনিকেতনের জীবনে। যদিও তার চূড়ান্ত কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। বিগত বছর আগস্টমাসে এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঐতিহ্যবাহী পুরানো ঘণ্টাতলার পাশে বিশাল বটগাছটি ঘণ্টার কাঠামোর উপর পড়ায় সেটিও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। শান্তিনিকেতনবাসী থেকে প্রাক্তনী সকলের কাছেই এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বহুদিন তার ধ্বংসাবশেষ পড়ে ছিল। সম্প্রতি বিশ্বভারতী পূর্বের কাঠামোয় পুরনো ঘণ্টাতলা নূতন করে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়ায় সবমহলই খুব খুশি। 

সকলেই জানেন শান্তিনিকেতনে প্রাচীন অনেক ঘরবাড়ি সে সময়কার কিছু রবীন্দ্রানুরাগী শুভার্থী মানুষের অনুদানে তৈরি। লর্ড সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের অনুদানে ‘সিংহসদন’, পীঠাপুরমের মহারাজার অনুদানে ‘বলভীকুটির’, ত্রিপুরার মহারাজার অনুদানে সংগীতভবন মঞ্চ, পিয়ার্সনের অনুদানে ‘দ্বারিক’, রতন টাটার অনুদানে ‘রতনকুটির’ প্রভৃতি বাড়িঘরগুলি বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। তেমনি হিন্দু  বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফণীভূষণ অধিকারীর তৃতীয়া কন্যা শ্রীমতী প্রীতি অধিকারীর ছাত্রবৃত্তির ত্রিশ টাকা অনুদানে তৈরি পুরনো ঘণ্টাতলা। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক ফণীভূষণ অধিকারীর পরিচয় হয় শান্তিনিকেতনে। এক গ্রীষ্মাবকাশের পরে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে তিনি কয়েকঘণ্টার জন্য শান্তিনিকেতন এসেছিলেন। সেই থেকে উভয়ের সখ্যতা। পুরনো ঘণ্টাতলা শান্তিনিকেতন গৌরপ্রাঙ্গণের উত্তর-পূর্ব কোণে মাধবীকুঞ্জ(মাধবীবিতান)-এর দক্ষিণে বিশাল বটগাছের স্নেহ ছায়ায় উপরে ওঠার সিঁড়ি সহ একটি সিমেন্টের চাতাল, যেখানে বৌদ্ধ পীঠস্থান সারনাথের প্রবেশদ্বারের আদলে একটি সিমেন্টের কাঠামোয় একটি ঘণ্টা ঝোলানো থাকত।  আদিকালে আবাসিক ছাত্রদের ঘুম থেকে ওঠা উপাসনা, ক্লাস, খাওয়া, রাত্রে শোওয়া অর্থাৎ আশ্রমের দৈনন্দিন জীবন এই ঘণ্টার ইঙ্গিতে চলত। তখনও সিংহসদন হয়নি। প্রীতি অধিকারীর ডাক নাম ছিল ‘রানু’, বিয়ের পর হন লেডি রানু মুখোপাধ্যায়। তিনি তাঁর কলকাতার বাড়িটি বিশ্বভারতীকে দান করেছেন যেখানে বর্তমানে বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগ কার্যালয়। প্রীতি অধিকারী ছেলেবেলায় রবীন্দ্রনাথের ‘ক্ষুদিত পাষাণ’, ‘জয়পরাজয়’ ছোটোগল্পগুলি প’ড়ে গল্প সম্পর্কে তাঁর মনের কথা এবং জিজ্ঞাস্য রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। প্রথম পত্রে তিনি রবীন্দ্রনাথকে সম্বোধন করেছিলেন ‘প্রিয় রবিবাবু’ বলে; বালিকার এই সম্বোধন রবীন্দ্রনাথের পছন্দ হয়নি। কবির মনের কথা জানতে পেরে পরবর্তী  চিঠিতে বালিকা রানু কবিকে সম্বোধনে লিখলেন ‘প্রিয় রবিদাদা’। কিছুদিন পর রানুর দাদা ‘ভানু’  মিল হওয়ায় রানু এবং ভানু এই দুটি নাম উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল।  তারপর থেকে চিঠিতে রানু রবীন্দ্রনাথকে ‘ভানুদাদা’ বলেই সম্বোধন করতেন। ভানুসিংহ ছদ্মনামে রবীন্দ্রনাথ স্নেহের রানুকে যে চিঠি লিখেছিলেন সেগুলি একত্রিত করে ‘ভানুসিংহের পত্রাবলী’ নামে যে গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, রবীন্দ্র সাহিত্যে তা বিশেষভাবে সমাদৃত।  রানুর প্রথম চিঠি  পাওয়ার পর বালিকার লেখা বলে পত্রটিকে রবীন্দ্রনাথ অবহেলা করেননি। আন্তরিক স্নেহের সঙ্গে লিখলেন,  “তোমার রানু নামটি খুব মিষ্টি— আমার একটি মেয়ে ছিল, তাকে রানু বলে ডাকতাম, কিন্তু সে এখন নেই।” রানুর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যে দিন প্রথম দেখা হয়েছিল সে দিন কবির আদরের বড়ো মেয়ে বেলার মৃত্যু হয়েছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ করে উস্কোখুস্কো চেহারায় রানুর বাড়ি ছুটে গিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তে বালিকা রানু কবির মনে হয়ত বেলার অভাব পূর্ণ করেছিলেন। পরে এক চিঠিতে তিনি রানুকে লিখলেন, “আমার খুব দুঃখের সময়েই তুমি আমার কাছে এসেছিলে; আমার যে মেয়েটি সংসার থেকে চলে গেছে সে আমার বড়ো মেয়ে, শিশুকালে তাকে নিজের হাতে মানুষ করেছি; তার মতো সুন্দর দেখতে মেয়ে পৃথিবীতে খুব অল্প দেখা যায়। কিন্তু সে যে মুহূর্তে আমার কাছে বিদায় নিয়ে চলে গেল সেই মুহূর্তেই তুমি আমার কাছে এলে—আমার মনে হল যেন এক স্নেহের আলো নেবার সময় আর এক স্নেহের আলো জ্বালিয়ে দিয়ে গেল। আমার কেবল নয়, সে দিন যে আমাকে তোমার ঘরে আমার কোলের কাছে দেখেছে তারই ওই কথা মনে হয়েছে। তাকে আমরা বেলা বলে ডাকতুম, তার চেয়ে ছোট আর এক মেয়ে আমার ছিল তার নাম ছিল রানু, সে অনেক দিন হল গেছে। কিন্তু দুঃখের আঘাতে যে অবসাদ আসে তা নিয়ে ম্লান হতাশ্বাস হয়ে দিন কাটালে তো আমার চলবে না। কেননা আমার উপর যে কাজের ভার আছে। তাই আমাকে দুঃখের উপরে উঠতেই হবে। …সেই জন্যেই খুব বেদনার সময় তুমি যখন তোমার সরল ও সরস জীবনটি নিয়ে খুব সহজে আমার কাছে এলে এবং এক মুহূর্তে আমার স্নেহ অধিকার করলে তখন আমার জীবন আপন কাজে বল পেলে— আমি প্রসন্নচিত্তে আমার ঠাকুরের সেবায় লেগে গেলুম।” রানুর দীর্ঘকালীন সান্নিধ্য হয়ত রবীন্দ্রনাথকে তাঁর কন্যাশোক ভুলতে সাহায্য করেছিল তাই শান্তিনিকেতনে পুরনো ঘণ্টাতলা একটি বালিকার ছাত্রবৃত্তির দানের টাকায় তৈরি এটি যেমন একটা  ইতিহাস, তেমনি মনে হয় তার চেয়ে বড়ো ইতিহাস একটি বালিকার সঙ্গে কবির স্নেহমাখা ভালোবাসা ও  প্রীতির সম্পর্ক।  পুরনো ঘণ্টাতলা তারই সাক্ষী হয়ে এতদিন শান্তিনিকেতনের বুকে দাঁড়িয়েছিল। এখন শান্তিনিকেতনের সকলেই অপেক্ষায় পুরনো ঘণ্টাতলা কবে হুবহু পুরনো আদলে স্বমহিমায় নিজের আসন লাভ করবে। পাঠক, কবিকন্যা রেনুকার কথা যখন উঠলো তখন  তাঁর শেষ বেলাকার সম্পর্কে দু-চার কথা বলি। রবীন্দ্রনাথ রানু নামে তাঁর যে কন্যার কথা বলেছেন সে তাঁর তৃতীয় মেয়ে রেণুকা। বিয়ের পর তাঁকে ক্ষয় রোগে ধরেছিল। কয়েক মাস পূর্বেই কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী পরলোক গমন করেছেন। মাতৃহারা মেয়ের অসুস্থতায় রবীন্দ্রনাথ খুবই উদ্বিগ্ন। সে সময় তাঁর চিকিৎসা বা তাঁকে সুস্থ করার প্রয়াসে বিদ্যালয়ের কাজে অনেকটাই ফাঁক পড়ে  যাচ্ছিল। রেণুকার স্বাস্থ্য উদ্ধারে তিনি তাঁকে নিয়ে ছুটেছেন হাজারিবাগ, মধুপুর থেকে শৈলশহর আলমোড়ায়। কয়েকমাস আলমোড়ায় কাটিয়ে কলকাতায় আনার কিছুদিন পর সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মাত্র বারো বছর বয়সে জোড়াসাঁকোয় রেণুকার জীবনাবসান হয়। মৃত্যুপথযাত্রী কন্যা সেদিন মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে শিয়রে বসা পিতাকে বলেছিলেন— বাবা, ‘পিতা নোহসি’ বলো। রবীন্দ্রনাথের কথায়, “আমি মন্ত্রটি উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গে তার শেষ নিশ্বাস পড়ল। তার  জীবনের চরম মুহূর্তে কেন সে ‘পিতা নোহোসি’ স্মরণ করলো, তার মানেটা আমি বুঝতে পারলুম। তার বাবাই যে তার জীবনের সব ছিল, তাই মৃত্যুর হাতে যখন আত্মসমর্পণ করতে হল, তখনো সেই বাবার হাত ধরেই সে দরজাটুকু পার হতে চেয়েছিল। তখনো তার বাবাই একমাত্র ভরসা এবং আশ্রয়। বাবা কাছে আছে জানলে তার কোনো ভয় নেই। সেইজন্যে ভগবানকেও পিতা রূপে কল্পনা করে তাঁর হাত ধরে অজানা পথের ভয় কাটাবার চেষ্টা করেছিল। এই সম্বন্ধের চেয়ে আর কোনো সম্বন্ধ তার কাছে বেশি সত্য হয়ে ওঠেনি। …তার সেই শেষ কথা যখন-তখন আমি শুনতে পাই—বাবা, ‘পিতা নোহসি’ বলো।” 

সাংসারিক শোক দুঃখ বেদনায় নানা আঘাত তাঁকে সইতে হলেও রবীন্দ্রনাথের লেখনী থেমে থাকেনি। ভানুসিংহের পত্রাবলীতে রানু অধিকারীকে লেখা চিঠিগুলিতে সর্বত্র তাঁর পিতৃস্নেহের পরশ জড়িয়ে আছে।

সম্প্রতি কলাভবন চত্বরে বিখ্যাত কালোবাড়ির উপরে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় তার চাল কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি ছিল কলাভবনের ছাত্রাবাস।  রবীন্দ্রযুগে কালোবাড়ির দেওয়ালে মাস্টারমশাই আচার্য নন্দলাল বসু, ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজ সহ সমসাময়িক ছাত্রদের বিভিন্ন প্যানেলে রিলিফের কাজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আশাকরা যায় অল্প সময়ের মধ্যেই তার মেরামতির কাজ শুরু হবে। বিশ্বভারতীর  রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপত্য। একই সঙ্গে বহু পুরনো বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে, একসময় যে বাড়িগুলিতে কৃতী রবীন্দ্র পরিকররা বসবাস করতেন। এই সব ঐতিহাসিক বাড়িগুলি ধীরে ধীরে ভেঙে ফেলায় এবং চারিদিকে যত্রতত্র  দেওয়াল তোলার আধিক্যে আশ্রম থেকে পুরনো দিনের স্মৃতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে আশ্রমের ছবি।  

 বিগত অক্টোবর মাসে বিশ্বভারতীর রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব সরকার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমি(ইনসা)-র বিচারে সেরা শিক্ষকের সম্মান পাওয়ায় তাঁর বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, সহকর্মী থেকে শান্তিনিকেতনের সকলেই খুব খুশি। তাঁর বহু কৃতী ছাত্রছাত্রী দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছেন। 

সম্প্রতি শান্তিনিকেতন হারিয়েছে বিশিষ্ট অধ্যাপক থেকে কয়েকজন প্রাক্তনীকে। বিশ্বভারতীর নৃত্যের অধ্যাপক, বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও গুরু দেবব্রত মুখোপাধ্যায় অকালে চলে গেলেন। দুরারোগ্য ক্যান্সারে তিনি ভুগছিলেন। বিশ্বভারতীর ভূগোল বিভাগের বিশিষ্ট প্রাক্তন অধ্যাপক মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলাভবনের  প্রাক্তন অধ্যাপক অরুণ পাল, পাঠভবনের প্রাক্তন ছাত্র অরূপ মুখোপাধ্যায়, সব্যসাচী মিত্রের জীবনাবসানের খবর মিলেছে। এঁদের পরলোকগমনের সংবাদে প্রাক্তনীদের মধ্যে গভীর  শোকের ছায়া নেমে আসে। 

শান্তিনিকেতন

২০ অক্টোবর ২০২১

Author

  • শ্রীবাস বিষ্ণু

    শ্রীবাস বিষ্ণু শান্তিনিকেতনের খবরাখবর নিয়ে কলম ধরেছেন। 'শান্তিনিকেতনের দিনলিপি' নামে এই খবর ধারাবাহিক ভাবে নবতরু ই-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।

One thought on “শান্তিনিকেতনের দিনিলিপি: শ্রীবাস বিষ্ণু”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গ্রীষ্মের দিনের টুকরো কথার স্মৃতি: প্রিয়াংকা রায়
গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

গ্রীষ্মের দিনের টুকরো কথার স্মৃতি:

    ছেলেবেলায় গ্রীষ্মকাল কেমন ছিল সেটা ভাবলে খুব যে কষ্ট পেয়েছি তা মনে নেই, তবে কষ্ট কমানোর উপায়গুলো বেশ মনে পড়ে। একটু আলাদা মত যেটা, সেটা একটু বলি।

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    শৈশবের গরমকাল: সরোজ চট্টোপাধ্যায়
    গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

    শৈশবের গরমকাল: সরোজ চট্টোপাধ্যায়

      একটু জ্ঞান হতেই মুক্ত গ্রাম্য প্রকৃতির কোলে শৈশবের অনাবিল আনন্দধারায় ভাসতে শুরু করেছে জীবন

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      আয়নাবন্দি: জিৎ সরকার (১/১২ পর্ব)
      গদ্য- সাহিত্য গল্প ধারাবাহিক গল্প

      আয়নাবন্দি: জিৎ সরকার

        গাড়িটা যখন বড়ো গেটের সামনে এসে দাঁড়াল তখন শেষ বিকেলের সূর্য পশ্চিমাকাশে রক্তাভা ছড়িয়ে সেদিনকার মতো সন্ধ্যেকে আলিঙ্গন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন