Recent Post

শান্তিনিকেতনের দিনলিপি: শ্রীবাস বিষ্ণু

২০ডিসেম্বর ২০২১

 বহু প্রতীক্ষার পর বিশ্বভারতী খুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদ্যালয় স্তরে উঁচুশ্রেণীর কিছু ক্লাস শুরু হবার কথা। শান্তিনিকেতন এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি। ইতিমধ্যে কয়েকজন কর্মী, অধ্যাপক ‘করোনায়’ আক্রান্ত হয়েছেন খবর   পাওয়া গেছে। এদিকে শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যে  বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মেলা হবে না। কাজেই পূর্বপল্লীর মাঠে কোথাও দোকানপাটের আনাগোনা নেই, নেই  কোনও ব্যস্ততা। করোনার কারণে বিগত বছরেও মেলা হয়নি। মেলা না হওয়ায় শান্তিনিকেতনবাসীদের মধ্যে দুঃখ এবং চাপা স্বস্তির মিশ্র প্রতিক্রিয়া। শান্তিনিকেতন পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় এমনিতেই প্রতিদিন রাস্তাঘাট মানুষের ভিড়ে ঠাসা থাকে এবং এ ধরণের জনস্রোত যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমস্যার কারণ। এ সবের মধ্যে ‘করোনা’ সব  কিছুতেই বাধ সাধছে। পৌষ মেলা হবে না জেনে মেলার সুখস্মৃতির দিনগুলি অনেকের মনে ভিড় করছে। প্রতি বছরের মতো  এবছরও ৭ই পৌষ সকালে ছাতিমতলায় বসবে উপাসনা। কিছু কাটছাট করে হবে অন্যান্য সব অনুষ্ঠান। সমস্ত অনুষ্ঠান করোনা বিধি মেনেই হবে। কাজেই সকলের প্রবেশ অবাধ হবে না। গতবছর বিশ্বভারতী নিজেরাই পৌষ উৎসব সম্পন্ন করেছিলেন। প্রাক্তনীদের শতবর্ষ প্রাচীন দুটি অনুষ্ঠান করার অনুমতি মেলেনি। উৎসবে তাঁরা ছিলেন ব্রাত্য।

(পৌষ মেলায় দ্বিপ্রহরে যাত্রা)

৭ই পৌষ শান্তিনিকেতনের ইতিহাসে এক পবিত্র দিন। কারণ ৭ই পৌষ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীক্ষার দিন। এই দিনটিকে ঘিরেই শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মমন্দির এবং ব্রহ্মচর্যাশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৮৯১ সালের ৭ই পৌষে শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা হয় এবং ১৯০১ সালের ৭ই পৌষে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ‘বোলপুর শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম’-এর প্রতিষ্ঠা  করেন। কাজেই ৭ই পৌষ শান্তিনিকেতনের আশ্রম জীবনে এক উল্লেখযোগ্য দিন— এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমরা জানি ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন রায় ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। দু-বছর পর কমল বসুর বাড়িতে ব্রহ্মোপাসনার উদ্দেশ্যে একটি ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর তিনি ইংল্যান্ড যান ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে; সেখানেই তাঁর অকাল মৃত্যু হয়। রামমোহনের বৈপ্লবিক চেতনাকে তাঁর একনিষ্ঠ স্নেহভাজন ভক্ত বৃদ্ধ রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ বহু কষ্টে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ১২৫০ বঙ্গাব্দের ৭ই পৌষ(২১ ডিসেম্বর, ১৮৪৩) বৃহস্পতিবার কুড়িজন অনুরাগী নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই রামচন্দ্র বিদ্যাবাগিশের কাছে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন। ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণের পর দেবেন্দ্রনাথ তাঁর আত্মজীবনীতে  লিখেছেন, “নূতন জীবন লাভ করিলাম।” 

এই দিনটি দেবেন্দ্রনাথের জীবনে যেমন নবজীবন লাভের দিন আর এক অর্থে এ দিনটি ব্রাহ্মসমাজের কঠিন সময় উত্তোরণের দিন। কারণ ব্রাহ্মসমাজের দুরবস্থা দেখে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তার আর্থিক সাহায্য থেকে ‘সমাজ’ পুণরোজ্জীবনের দায়ভার গ্রহণ করেন এবং তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মহাত্মা রামমোহনের মৃতপ্রায় ব্রাহ্মসমাজ নবজীবন লাভ করে। ব্রাহ্মধর্মের নবজীবন লাভ, খ্যাতি, প্রসারে তাঁর ছিল মুখ্য ভূমিকা এবং ঊনবিংশ শতকের বাংলার নবজাগরণের ইতিহাসে রামমোহনের প্রকৃত উত্তর সাধক বলতে দেবেন্দ্রনাথকেই বোঝায়। পাঠক— সে অনেক লম্বা ইতিহাস। 

ফিরে আসি ৭ই পৌষের কথায়। ৭ই পৌষের পূণ্য দিনে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা গ্রহণের ভিতর দিয়ে যুবক দেবেন্দ্রনাথের হৃদয়ে যে বীজ রোপিত হয়েছিল পরবর্তীকালে তার সফল অঙ্কুরোদ্গম শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠার মধ্যে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনকালে পিতার দীক্ষার দিনটিকে বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছেন। ছাতিমতলার উপাসনায় পিতার দীক্ষাদিনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে শান্তিনিকেতনের জীবনে দিনটির গুরুত্বের কথা বারে বারে স্মরণ করেছেন।

রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন গ্রন্থে ‘আশ্রম’ নামক প্রবন্ধে মহর্ষিকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেছেন, “একদিন একজন সাধক অকস্মাৎ  কোথা থেকে কোথায় যেতে এই ছায়াশূন্য বিপুল প্রান্তরের মধ্যে যুগল সপ্তপর্ণ গাছের তলায় বসলেন, সেই দিনটি আর মরল না। সেই দিনটি বিশ্বকর্মার সৃষ্টি শক্তির মধ্যে চিরদিনের মতো আটকা পড়ে গেল।” 

এক ৭ই পৌষের উপাসনায় বলেছেন, “একদিন যাঁর চেতনা বিলাসের আরামশয্যা থেকে হঠাৎ জেগে উঠেছিল, এই ৭ই পৌষ দিনটি সেই দেবেন্দ্রনাথের দিন। এই দিনটিকে তিনি আমাদের জন্যে দান করে গিয়েছেন।” 

কাজেই ৭ই পৌষ শান্তিনিকেতনের জীবনে এক উল্লেখযোগ্য দিন এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতি বছর পবিত্র ৭ই পৌষে শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।   

 দেবেন্দ্রনাথের ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণের দু’বছরের মধ্যে তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় পাঁচশোজন অনুরাগী ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন। ব্রাহ্মধর্মের এই সাফল্যে এবং ব্রাহ্মদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়ে তার প্রসার প্রচারের অনুপ্রেরণায় দীক্ষিত ব্রাহ্মদের নিয়ে কলকাতার নিকটবর্তী গোরোটি বাগানে একটি মেলার আয়োজন করেন। পরবর্তীকালে শান্তিনিকেতন আশ্রমকে সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার সময় তিনি যে ট্রাস্টডীড রচনা করেন তাতে ধর্মভাব উদ্দীপনের জন্য একটি মেলার উল্লেখ পাই, সে গোরোটি বাগানে আয়োজিত মেলার ফলশ্রুতি। মহর্ষির ট্রাস্টডীডের নির্দেশ অনুযায়ী শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসবের চতুর্থ বৎসরে ছাতিম তলার উত্তরমাঠে প্রথম মেলা বসে। চতুর্থ বৎসরে ৭ই পৌষের উৎসব সম্পর্কে তত্ত্ববোধিনীতে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তার সংক্ষেপ—’ঐ দিন সকালে ঘন্টা রবের পর ব্রহ্মমন্দিরে বসে উপাসনা। উপসনা শেষে রবীন্দ্রনাথ সবস্ত্র ভোজ্য দীন দুঃখী ও আতুরদিগের মধ্যে বিতরণ করেন।  দিবা দ্বিতীয় প্রহর । চতুর্দিকে দোকান পসার বসিয়াছে এবং স্থানীয় লোকে উৎসবক্ষেত্র পরিপূর্ণ হইয়াছে।….. মেলায় সাধারণের হৃদয়ের সুশিক্ষার উদ্দেশ্যে যাত্রাপালা রাজা হরিশ্চন্দ্রের উপাখ্যান গীত হইয়াছিল। গীতাভিনয়ে অনেকেরই অশ্রুপাত হইয়াছিল।” 

সায়ংকালের বিবরণে লিখিত হয়—”অনন্তর রক্ত সন্ধ্যায় আকাশ সুরঞ্জিত এবং রক্তাভ সূর্য্য প্রান্তরের পশ্চিম প্রান্তে অস্তমিত হইল। বিচিত্র বর্ণের কাচনির্ম্মিত বিশাল ব্রহ্মমন্দির আলোকমালায় উদ্ভাসিত হইয়া অপূর্ব শ্রী ধারণ করিল।”

(পৌষ মেলায় বাজি)

সান্ধ্য উপাসনার পর বাজি পোড়ানো হয়। বাজির বিবরণের বর্ণনা— “পরে সমস্ত নিঃস্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া চটচটা শব্দে বহ্ন্যুৎসব পর্ব্ব আরম্ভ হইল। লোকতরঙ্গ মহা কোলাহলে ক্ষুভিত হইয়া উঠিল। তৎকালে খধূপোদ্গত গোলকের বিচিত্র নির্মল আলোকে সেই বিস্তীর্ণ প্রান্তরে কেবলই মস্তক দৃষ্ট হইতে লাগিল। কি ভীষণ  জনতা! কি বিষম কলরব!” 

পরবর্তীকালেও সকলের কাছে পৌষমেলার বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাজি। ৮ই পৌষ সন্ধ্যায় বাজি দেখতে গ্রাম শহরের ছেলে বুড়ো থেকে বহু মানুষ ভীড় জমাতেন মেলার মাঠে। প্রথমে উঠত ফানুস। তারপর বিকট শব্দে যখন কয়েকটা  বাজি ফাটত তখন দর্শকদের মনে তার সাড়া লাগত, সে আওয়াজ আশপাশের গ্রামগুলি থেকেও শোনা যেত। বাজির মাঠে ঝরণা বাজি থেকে রঙ-বেরঙের বাজির রোশনাই তারমধ্যে মধ্যে সাপের মতো হাওয়াই বাজিগুলি আকাশে ফেটে যখন আলোর ফুলকির মালা হয়ে ঝরে পড়ত তখন মাঠ জুড়ে কেবল উল্লাস ধ্বনি। বিগত কয়েক বছর ধরে মেলায় শব্দবিহীন বাজি। তাতে বাজির আনন্দ অনেকটাই ম্লান।

এবারও করোনার জন্য নন্দন প্রাঙ্গণে ‘নন্দনমেলা’ বসেনি। প্রতিবছর মাস্টারমশাই শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর জন্মদিন উপলক্ষে কলাভবনের ছাত্রছাত্রী-অধ্যাপক মিলে এই মেলার আয়োজন করতেন। শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর জন্মদিন ৩ ডিসেম্বর। এবার তাঁর একশ চল্লিশতম জন্মদিবসে কলাভবনের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, অধ্যাপিকা সকলে সমবেত হয়েছিলেন তাঁর শ্রী পল্লীর বাসভবনে। সানাইয়ের সুর, আলোকসজ্জার ভিতর দিয়ে তাঁরা মাস্টারমশাইকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন।

(নন্দলাল বসু কর্তৃক প্রাচীর চিত্র)

 শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর কথা সকলেরই জানা। শান্তিনিকেতনের নানা উৎসব যেমন বসন্তোৎসব, বৃক্ষরোপণ, হলকর্ষণ প্রভৃতি থেকে রবীন্দ্রনাটকে চরিত্র অনুযায়ী কলাকুশলীদের রূপসজ্জা, নাটকের মঞ্চসজ্জার পরিকল্পনা সব  তাঁর অবদান। সময়ের সঙ্গে তার কিছু পরিবর্তন হলেও সেই ধারা শান্তিনিকেতনের উৎসব অনুষ্ঠানে আজও প্রবহমাণ। শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতনে প্রাচীর-চিত্রগুলি তাঁর সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। কাজে যোগদানের পূর্বে ১৯১৪ সালের এপ্রিল মাসে তিনি প্রথম আসেন শান্তিনিকেতনে। আম্রকুঞ্জে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সংবর্ধিত করেন। আপ্লুত নন্দলাল বললেন, “আমি ধন্য হয়েছি।” এই উপলক্ষে কবি তাঁকে ষোলো ছত্রের একটি আশীর্বাণী তাঁকে উপহার দেন। “তোমার তুলিকা রঞ্জিত করে/ ভারত-ভারতী-চিত্ত।/ বঙ্গলক্ষী ভান্ডারে সে যে/ যোগায় নূতন বিত্ত। ……………… তোমার তুলিকা কবির হৃদয়/ নন্দিত করে, নন্দ !/ তাইত কবির লেখনী তোমায়/ পরায় আপন ছন্দ।” ……  নন্দলালের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাঁর গুরু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশীর্বচন, “প্রিয় নন্দলাল/ আনন্দ রহো/ আনন্দ রহো/ আনন্দ রহো। তোমার পঞ্চাশ বছরের জন্মোৎসবে আমি এই কামনা করছি যে তোমাকে পেয়ে আমার যেমন আনন্দ, তেমনি আনন্দ পেয়ে যাও তুমি তোমার সহপাঠী ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে। শুভমস্তু শুভমস্তু শুভমস্তু।” 

শিল্পাচার্যের জন্মদিনে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা, প্রণাম।   

শ্রীবাসবিষ্ণু শান্তিনিকেতন

Author

  • শ্রীবাস বিষ্ণু

    শ্রীবাস বিষ্ণু শান্তিনিকেতনের খবরাখবর নিয়ে কলম ধরেছেন। 'শান্তিনিকেতনের দিনলিপি' নামে এই খবর ধারাবাহিক ভাবে নবতরু ই-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চাদিফাঁটা আমার সেকাল: বন্দে বন্দিশ
গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

চাঁদিফাটা আমার সেকাল: বন্দে বন্দিশ

    মনে পড়ে যায় ছেলেবেলার সেইসব দিন, প্রচন্ড গরম থেকে স্বস্থির আরাম

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    শৈশবের গরমকাল: মধুরিমা বন্দ্যোপাধ্যায়
    গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

    শৈশবের গরমকাল: মধুরিমা বন্দ্যোপাধ্যায়

      শীত বুড়ির চাদর পেড়িয়ে যখন গ্রীষ্মকাল আসে দাবদাহ যেন ভৈরব সন্ন‍্যাসীর মতন তাড়া করে। আমাদের ছোটবেলায় মুঠোফোন অনেক দূরের ব‍্যাপার লোডশেডিং এর পাড়ায় কার্টুন দেখাও ছিল শক্ত কাজ।

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      শৈশবের গরমকাল: সুব্রত চৌধুরী
      গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

       শৈশবের গরমকাল: সুব্রত চৌধুরী

        সেদিনও ছিল উষ্ণতার রুদ্র পরাক্রম-মন্দ্রিত দুপুরের নৈঃশব্দ্য। ছিল চৈত্র শেষে চড়ক, শিবের গাজন আর তুলসীতলায় বসুন্ধরার আয়োজন

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন