ধুলোমাখা অস্তিত্বের ভিড়ে
যেখানেই তাকাই নিজেকে অসহ্য মনে হয়
বারেবারে ফিরে যাই অনেক দূরের কঠোর অতীতে
যেখানে ছিন্নভিন্ন ডালপালা আর বটগাছের ঝুড়ি নামে দুর্ভাগ্য হয়ে ,
বাজে পুড়ে যাওয়া তালগাছটার নীচে পড়ে থাকা বুলবুলি পাখির কঙ্কাল ,
আরো দূরে সবুজ হলদে ঘাসের মাঝে খুঁজে চলি
আমার ছেলেবেলার ঘামের ফোঁটা,
অস্থির শতাব্দীর গল্প শুকিয়ে আসে লেবুতলার সন্ধেতে,
কত কত বিশৃঙ্খল জীবনযাত্রার ঘেরাটোপে বাধ্য জীবন তবু বারবার চায় আগেকার বোহেমিয়ান অশান্তিকে।
যেখানে জাগ্রত বিনিময় প্রথা সুখ দুঃখকে
এক রাখত,
এভাবেই রাত আসে একটা একটা কাঁচের ভেঙে যাওয়ার শব্দে
নিভৃতে আঁকড়ে ধরি তাকেই স্মৃতির চাদরে।
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।
এ এক জাগ্রত ব্যাথা মন কে নাড়িয়ে তোলে ।
নবতরু ই – পত্রিকার অলঙ্কৃত উপস্থাপনার নিদর্শন চোখে পড়ার মত।
অবশ্যই প্রত্যেকেই আশা করি প্রান ভরে পড়েছেন এবং মন খুলে লিখেছেন।
জাগ্রত মনের সুন্দর নস্টালজিক অভিব্যক্তি।