রসনা চোর: অন্বেষা মণ্ডল
দিবাকরবাবুর বাড়িতে ঘটনাটি গত সপ্তাহ থেকেই ঘটছে। কখনও ঋকের বাক্স থেকে চকলেট বা ডাইনিং টেবিল থেকে ফল বা ফ্রিজ থেকে মিষ্টি উধাও হয়ে যাচ্ছে। দিবাকর সেন অবসরপ্রাপ্ত উকিল, থাকেন সল্টলেকে। বাড়িতে থাকেন স্ত্রী অঞ্জনা, বৌমা আর নাতি ঋক। ছেলে থাকে বিদেশে। আজ সকালে পেপারটা হাতে নিয়ে বসেছেন এমন সময় বৌমা এসে জানাল যে ফ্রিজ থেকে তিনটে রসগোল্লা উধাও হয়েছে। দিবাকর বাবু বললেন, “এ তো আচ্ছা ঝামেলা। কে যে…।”
তাঁর কথা শেষ না হতেই অঞ্জনা বারান্দা থেকে বললেন, “কতদিন বলেছি তোমার ওই স্কাইলাইট না মাথা, ওটা বন্ধ করো। শুনলেই না।”

দিবাকর বাবু কাগজে মন দিলেন। সবার ধারণা যে স্কাইলাইট দিয়ে বাঁদর ঢুকছে। অঞ্জনার গোয়েন্দাগিরি শুরু হল। সেদিন রাতে তিনি জেগে রইলেন। গভীর রাতে খুট্ করে শব্দে তিনি দরজা ফাঁক করে যা দেখলেন তাতে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। পরদিন দুপুরে খাওয়ার পর অঞ্জনা দিবাকরবাবুর ঘরে এসে বসলেন। হঠাৎ জিজ্ঞাসা করলেন,”আচ্ছা এই মাসে তোমার সুগার কত?”
—কেন? আগের মাসে ১২৩-২৫ ছিল। এ মাসে চেক করিনি।
—আমি জানি যে, ফল মিষ্টিগুলো তুমিই খাও। সুগারটা বেড়েছে। আজ থেকে ফ্রিজে সুগার ফ্রি মিষ্টি এনে রাখব আর রাতের বেলা অন্ধকারে বেরিয়ো না। দাদুভাই কত খেলনা এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে রাখে, পড়ে গেলে সবাইকে ভোগাবে।
এই বলে অঞ্জনা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। দিবাকর বাবু হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলেন।
One thought on “রসনা চোর: অন্বেষা মণ্ডল”