অপরে যারা উপহাস করে
খুঁজে বেড়ায় পরের দোষ,
হীনমন্যতা ঢাকতে চেয়ে
আড়ালে করে আফশোস।
আমি ও আমার ঔরসজাত
সর্বক্ষেত্রে জ্ঞানীগুণী,
বাকিদের কি আর এমন এলেম!
কেনই বা হবে ওরা দামি?
জ্বলে গাত্র পরের ক্ষেত্রে
বলতে পার না আমার কথা,
পরশ্রীকাতরতায় অন্ধ আমি
দাও কেন হে প্রাণে ব্যথা।
আমার যত অক্ষমতা
প্রকট তোমার সফলতায়,
ভয়ে মরি সদা পড়ল কি টান
মেকি গুণীর তকমাটায়।
সামলে সুমলে থাকি যেন
এই বুঝি বা পড়ি ধরা,
সত্যি বলছি নিজেই নিজে
হয়েই আছি আধমরা।
১৯৭৬ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড়ের মাধবপুরে অতি নিম্নবিত্ত এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ক্ষুধা আর সামাজিক অবজ্ঞা নিয়ে বেড়ে ওঠেন কবি রঞ্জন কুমার বেরা। পিতা ভরত চন্দ্র বেরা ও মাতা শোভা রানির মধ্যম সন্তান তিনি। নন্দকিশোরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয় তাঁর বিদ্যাচর্চা। সরিষা কুনারপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং তারপর রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শ্রীবেরার কর্মজীবন শুরু হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে। বর্তমানে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ভালোবাসেন নানান সমাজসেবামূলক কাজ করতে। অবসর সময়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। মূলত কবিতা চর্চায় নিমগ্ন কবির লেখালেখি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
বাহ্…… কবিতাটি বেশ লাগলো👌👌👌