ফিরে যাবার আগে
শেষ-আশ্রয়ের কাছে এসে দাঁড়াই!
চারপাশে পোড়া কাঠ, ভাঙা কলস, নিভু-নিভু ছাই আর
মরা-পোড়ার গন্ধ মেখে
প্রেতাত্মার মতো জেগে থাকেন— বিদ্যাধরপুর শ্মশানমাঠ!
বহুকাল আগে যে-তান্ত্রিক সাধন অসম্পূর্ণ রেখে
কোপাইয়ের ঘোলাটে জলে ভেসে যাওয়া নশ্বরতার মতো
হারিয়ে গেছেন চিরতরে,
আমি তার পরিত্যক্ত পঞ্চমুণ্ডির আসনের পাশে এসে বসি!
দেখি, জন্ম ও মৃত্যুর মাঝে খুব আলতোভাবে টাঙানো থাকে—
প্রদীপের সলতের মতো জীবনআয়ু!
জন্মের সাথে-সাথে জ্বলে ওঠা সেই আয়ু
পুড়তে-পুড়তে ক্রমশ এগিয়ে চলে মৃত্যুর দিকে...
নত হয়ে আমি সেই জ্বলে-ওঠাকে প্রণাম করি!
আমরা কেউ জানি না, আসলে কতটা দীর্ঘ আমাদের এই আয়ু-পথ...!
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।