অনেকদিন আগে একটা গ্রামে এক ছেলে থাকত, তার নাম পটল। গ্রামের মানুষজন তাকে পটলা বলে রাগাত। কিন্তু পটল রাগত না। পটলের এক বন্ধু ছিল যার নাম কাজল। এক বিকেলবেলায় পটল কাজলের বাড়ি গেল। সে দেখল কাজল বাড়িতে নেই। সেখানে কাজলের মা টিভি দেখছিলেন। পটল তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “কাজল কোথায়?”
কাজলের মা বললেন, “কাজল সিমলা বেড়াতে গেছে।” এবং তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কেন এসেছ?”
পটল বলল আমাকে সবাই পটলা বলে রাগায়, তাই আমি একটা বুদ্ধি নেব বলে এসেছিলাম। কিন্তু কাজল তো সিমলা বেড়াতে গেছে তাই আর বুদ্ধি নেওয়া হল না। “বন্ধুকে না পেয়ে পটল মনের দুঃখে বাড়ি চলে গেল।
কিছুদিন পর কাজল বাড়ি ফিরে এল। তার কিছুদিন পর পটলের বাড়িতে ভোজ ছিল, পটল খেয়ে দেয়ে ঘুমোচ্ছিল। তখন কাজল এল ভোজ খেতে। কাজলকে দেখে কাজের মাসিরা পটলকে জোরে ডাকল। বলল, “তোর বন্ধু কাজল এসেছে।”
একথা শুনে পটল আনন্দে নেমে এল।
“আমি কিছুদিন আগেই তোর বাড়ি গিয়েছিলাম, তোর কাছে একটা বুদ্ধি নেব বলে, তুই তো বেড়াতে গিয়েছিলিস তাই তোকে না পেয়ে মনের দুঃখে বাড়ি ফিরে গেলাম।” পটল বলল।
পটলের মাথায় দারুণ বুদ্ধি খেলে গেল। কাজল পটলের কানে কানে কিছু একটা বলল।
পটল বলল, “দারুণ বুদ্ধি তোর!”

এরপর একদিন বিকালে কাজল বলল, “চল পটল, অনেকদিন বাদাম ভাজা খাইনি, আজকে বাদাম ভাজা খাব।”
পটল বলল, “চল।”
এরপর দু’জন মিলে রাস্তায় গেল। তখন বাজে বিকাল পাঁচটা। ওরা যখন বাদাম ভাজা কিনছিল তখন ওদের বন্ধুরা মাঠে ব্যাট নিয়ে খেলতে যাচ্ছিল। সেটা দেখে কাজল বলল, “চল, বাদাম ভাজা নিয়েই মাঠে যাই।”
মাঠে গিয়ে ওরা বাদাম ভাজা খেতে লাগল, সেটা দেখে একজন এগিয়ে এসে বলল, “কী পটলা, কী খাচ্ছিস রে?”
একথা শুনে কাজল রেগে গিয়ে বলল, “তোর নাম তো পাঁচু, আমি যদি তোকে প্যাঁচা বলি তাহলে কেমন হবে?”
একথা শুনে বাকি ছেলেরাও হাসল এবং ভাবল ওরা যদি পটলকে পটলা বলে তাহলে ওদের নামও বদলে যাবে। ওরা আর কোনোদিনও পটলেকে পটলা বলেনি। এরপর পটল কাজলকে থ্যাঙ্ক ইউ বলল। তারা সবাই মিলে বন্ধু হয়ে গেল। বাকিরাও নিজের ভুল বুঝতে পারল। তারপর সবাই মিলে পটলের কাছে ক্ষমা চাইল। পটলও সবাইকে ক্ষমা করে দিল এবং সবাই মিলে বলল, “পটল, আমরা এই ভুল আর কোনোদিনও করব না।
পটল হেসে উত্তর দিল, “ইটস ওকে মাই ফ্রেন্ডস।”