সেদিন বর্ষণমুখর সন্ধ্যেতে
রাকার প্রথম আলোতে
যখন তোমার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই,
না-জানি কেন এত করে তোমায় চাই।
হয়ত তোমার লেখার ক্ষমতা
টেনে নিয়ে ভালোলাগা ছড়িয়ে দেয় অযথা
কোনো ভাষা নেই কোনো বাক্যালাপ নেই,
তোমার সাথে জানি আজও তাই।
হয়ত তুমি মনের ছবি নিয়ে
দিব্যি আছ বাতানুকূল ঘরে শুয়ে,
আমি হয়ত বা আজ আর তোমার নই
যেখানে শুধু অন্তরালে অন্য কেউ আজ রয়।
হয়তো বা প্রভাতের দিবাকরের রশ্মিতে
বাতায়নের বন্ধন খুলে নিবিড়তাতে,
শুনছ দাঁড়িয়ে হাতে পেয়ালা নিয়ে
আমার প্রিয় গান খানি বেতারের বিনিময়ে।
জানি আজ আর চাওনা শুনতে কিছুই
যেটা ছিল আমার মনের সবটুকুই
গভীরের চাওয়া নিয়ে গভীরতায়,
প্রবেশে বাধা ছিল নিষ্প্রাণ ভালোবাসায়।
১৯৭৫ সালে আলিপুরদুয়ারে জন্মগ্রহণ করেন লেখিকা মিঠু ঘোষ। বাল্যকাল কাটে জলপাইগুড়ি শহরের অনতিদূরে তোরোলপাড়া গ্রামে। বিদ্যালয় জীবন কেটেছে গ্রামেই তারপর শহরের বিদ্যালয় থেকে পাঠ সম্পূর্ণ করে প্রসন্নদেব কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
অন্যান্য কাজের মধ্যেই তাঁর শখ কবিতা ও গল্পের চর্চা। অবসর সময়ে কবিতা আর গল্প বই পড়তে ভালোবাসেন তিনি। তাঁর কথায়, "কবিতা আমার জীবন।" বাংলা ভাষার পাশাপাশি দখল আছে হিন্দি ভাষাতেও। স্নাতক স্তরে এই দুটি বিষয়েই তিনি অধ্যয়ন করেন। এছাড়াও তিনি চান লেখালেখির পাশাপাশি জীবনে মানুষের জন্য কিছু কাজ করতে। বিভিন্ন কবি এবং সাহিত্যিকদের লেখা ওনাকে উৎসাহিত করে।
ভাল লাগা কবিতা।