বড়ো অচেনা লাগে,
যখন রোজকার মতো সকালে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বলো,
"আমি কফি খেতেই ভালোবাসতাম।"
গোলাপ তোমার প্রিয় ফুল জেনেছি এতকাল,
আজ দেখি ফুলদানি থেকে সে ফুলের গোছা নামিয়ে,
বলে ওঠো, "বিকেলে কিছু বুনো ফুল এনো তো।"
বড়ো অচেনা লাগে,
যখন দেখি আগাথা ক্রিস্টির মলাটের পিছনে
"কাঁদালে তুমি মোরে"- লিখেছো আনমনে।
রোজ রাতে বিছানায় আসো ঘুম ঘুম চোখে,
আজ এসে বলো-
"জেগে থাকি আমি, জানালাটা দাও খুলে।"
বড়ো অচেনা লাগে,
যখন তোমার সাজানো ড্রয়িং রুম হয়ে যায় অগোছালো,
একটুও রাগ না-করে দেখ তুমি হাসিমুখে।
আর বলে ওঠো, "জানো তো
এভাবেই রান্না বাটি খেলেছি শৈশবে,
খেলা শেষে এলোমেলো করে বাড়ি ফিরেছি।"
বড়ো অচেনা লাগে,
যখন তাপে উত্তাপে জাগিয়ে কাঁপন-
চলে যাও চির তুষারের দেশে।
কখনও আবার সাইবেরিযা থেকে ফিরে এসে
যেন মরু যাত্রী হয়ে বলে ওঠো,
"বৃষ্টি নামুক, ভেজাও আমায়।"
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।
কবিতায় বড়ো আধুনিক। ভাল লাগে।
ধন্যবাদ।