পুরোনো সেই অযাচিত ইচ্ছেটা
সুতো ছিঁড়ে উড়ছে কেমন ভো-কাট্টা
উড়ছে উড়ুক ক্ষতিই বা তায় কী হবে
আসল হবার গল্পগুলো বদলাবে
তুলসী চোখে, মুখে আগুন, ধুপ-ধুনা
এবার তবে এই ছবিটা আঁকবোনা।
ইচ্ছে যেমন, তেমনি ধ'রো রং-তুলি
জমছে বুকে শরীর পোড়া ছাইগুলি।
সাদা কালোর নক্সাকাটা শরীরটা
কেউ কি পাবে হারিয়ে যাওয়া এ-প্রাণটা
প্রতিষ্ঠানের নাগপাশে আর জড়াস না
ঘুমিয়ে আছে, ওকে তো আর ডাকিস না।
ঘুমিয়ে গেলে দুঃখগুলো যায় উড়ে
প্রানের মতো পাখনা মেলে ওই দূরে।
ঘূর্ণি ঝড়ের হাত ধরলেই ভো-কাট্টা
হারিয়ে যাবে পুরোনো সেই ইচ্ছেটা।
যাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে নানান ছবি, শব্দেরা কথা কয়; তিনি হলেন কবি প্রিয়াংকা রায়। জন্ম ১৯৮৪ সালে কলকাতা শহরে। তাঁর বাল্যকালের অনেকটা সময় কেটেছে শান্তিনিকেতনে আর কিছুটা সময় কলকাতায়। বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবনে আবাসিক ছাত্রী হিসাবে, এরপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য বেশ কিছু খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সৌভাগ্য হয় তাঁর। এগুলির মধ্যে ডব্লুবিইউটি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। তিনি একাধারে এম টেক পাঠ সম্পূর্ণ করেন এবং পরবর্তীতে রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন। কবি শ্রীমতী রায় বর্তমানে বোলপুরের বাসিন্দা এবং শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন।
এরই সঙ্গে তিনি ভালোবাসেন সংগীত চর্চা, হাতেরকাজ, সেলাই, খেলাধুলা প্রভৃতি। তাঁর কথায়, "লিখতে গেলেই মনে হয় বিশালত্বের পাশে ক্ষুদ্রের চিত্রলিপি।" ছেলেবেলায় পাঠভবনের শিক্ষা ও পরিবেশ তাঁর আত্মকথনের সাহস। পাঠভবনের সাহিত্যসভা ও নানা অনুষ্ঠানের হাত ধরে একটু একটু করে লিখতে শেখা, মনের ভাব পেন্সিলের আঁকিবুকিতে খাতায় ফুটিয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে যে অভ্যাসের সূচনা হয়েছিল আজও সেই সাধনা তাঁর অব্যাহত রয়েছে। সেই ছবিই ফুটে উঠেছে নবতরু ই-পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর বিভিন্ন কবিতায়।
One thought on “পুরোনো সেই ইচ্ছেটা: প্রিয়াংকা রায়”