অফিসে দোতালায় রাস্তার উল্টোদিকে ব্যালকনি রয়েছে, ওইদিকটায় একটা ছোট জলার মতো, অনেকটা তাড়াতাড়ি করেই সেখানে পৌঁছল ও, ঠিক ২০ মিনিটের মাথায় আর একটা সিগারেট ধরিয়ে প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল বের করল, একটা টেক্সট, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর এল, ওর কয়েকজন জুনিয়র, সিনিয়র আর কয়েকজন বন্ধু, এদের সঙ্গে প্রায় সব কিছু শেয়ার করে, পরিচিতি অনেকটাই ওর কিন্তু এদেরকেই ওর নিজের মনে হয়। এতক্ষণ যে বিরক্তিটা লাগছিল, অনেকটা কাটল। শীতের দুপুর হলেও বাতাসটা যেন স্বস্তি দিচ্ছিল।

ফিল্টার ফেলে দিয়ে একটু চোখ বুজল। একটা অধ্যায়…..কিছু স্মৃতি ছবির মতো সামনে দিয়ে সিনেমার ট্রেলারের ভঙ্গিতে চলে গেল। নিজেকে এতটা তাড়াতাড়ি সামলে নেওয়া সম্ভব ছিল না, কিন্তু ও পেরেছে, আর পেরেছে বলেই এতদিন যতকিছু অনেকটা কঠিন মনে হত—সেগুলো বেশ ইন্টারেস্টিং হয়ে যাচ্ছে ওর কাছে। কিছু বিষয়ে সমালোচনা অন্য কারও মুখ দিয়ে হলেও শোনে, ম্লান হাসে আর সেগুলো করে দেখানোর তাগিদ আর জেদটা আরও বেড়ে যায়।
পারিজাতদা…. ডাকটা শুনেই সম্বিত ফিরে এল। ঘরের টেবিলে চা এসে গেছে, ফাইল পরে রয়েছে, লাঞ্চ ব্রেক শেষ, কাজও শেষ করতে হবে, ঘড়িতে তখন ৩টে।
(সমাপ্ত)