Recent Post

পরিচয়: ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

পরিচয়: ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

অঞ্চলের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জয়বাবু। প্রতিষ্ঠার পটভূমি যাই থাক, সফলতা যার দরজায় কড়া নাড়ে তার আর কোনও দোষ থাকে না। কথায় কথায় তাই কর্মচারী এমনকি খদ্দেরদেরও অনেক সময় চিৎকার শুনতে হয় নানান কারণে। 

অর্থের সাথে নেশা। তা মদ বা মেয়ে যাই হোক, কখনও দুটোই। জয়বাবুর অল্পেতে চলে না। তাই এই দুইয়ের নেশা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। তাই সাথে সাথে ভাঁড়ারে টান। তবে ঠাঁট বজায় রাখার প্রবল চেষ্টা। তা থেকেই কর্মচারী রাখা বাধ্যতামূলক। যদিও যৎসামান্য বেতন মেটাতে হিমসিম খেতে হয় এখন। তবু চলছিল কোনও রকম।

বেশ কিছু দিন ধরে জয়বাবুর কর্মচারী পুতো বেতন পায়নি। তারও সংসারে অভাব। তাই না পেলেও নিয়মিত বেতন চাইতে ভোলে না সে। চাইতে চাইতে কখনো কখনো মেলে অল্প-বিস্তর। কিন্তু এমন করে আর চলা গেল না। অবশেষে একদিন অশান্তি চরমে উঠল। জয়বাবু সম্মান রক্ষা করলেন পুতো’র গায়ে হাত তুলে, নিজের গায়ের জোর দেখিয়ে। সে যাত্রায় সমাধান অমীমাংসিত রয়ে গেল। 

কিছু দিন পর, হঠাৎই একদল পাওনাদার এসে চড়াও হয় জয়বাবুর ওপর। পুতো তখনই দোকানের পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে অবস্থা দেখে ছুটে আসে, ও পাওনাদারদের বুঝিয়ে ক্ষান্ত করে। জয়বাবু বেঁচে যায় সে যাত্রায় পুতোর জীবন বোধের পরিচয়ে।

Author

  • ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

    লেখিকা ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৭৯ সালে। অধুনা বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন নিবাসী ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। লেখার হাতেখড়ি স্কুল ম্যাগাজিনে অনুগল্প লেখা দিয়ে। বিভিন্ন বিষয় পড়তে ভালোবাসেন। লেখার মূল অনুপ্রেরণা রবীন্দ্রকাব্য ধারা। সামাজিক বিষয় ও রোম্যান্টিসিজ়ম কবির মূল উপপাদ্য বিষয়। স্থানীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন পত্রিকাতে লেখালেখি করতে ভালোবাসেন তিনি। অবসর সময়ে সংগীত সাধনাতেও মগ্ন থাকেন শ্রীমতী বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে সাহিত্যকে শুদ্ধ ও নব দিশায়, মানব জীবনের প্রতিচ্ছবি করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন কবির চোখে। পাঠক মহলের কাছে পৌঁছে দিতে চান নতুন দিনের আশার আলো এই সাহিত্যকেই সোপান করে।

One thought on “পরিচয়: ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়”

  1. যে জীবন বোধের পরিচয় দেয় ,তার জীবনের পরিচয় কি
    সমাজ বোঝে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Nabataru-e-Patrika-July-2022-16.jpg July 1, 2022
অণু গল্প

ভালোবাসা: বসন্ত ঘোষ

    আমি তিনবার জেনেছি। এক, মায়ের কোলে। দুই, পরীক্ষায় প্রথম পাশ করে;আর তি

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    Nabataru-e-Patrika-June-2022-13.jpg
    অণু গল্প

    জবাব: নির্মল কুমার দে

      শখ করে বন্ধু রজতের মোটরসাইকেলটি একবার চালিয়েছিল সঞ্জয়। আর গাড়িটা একটি বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে উলটে গিয়েছিল রাস্তায়।

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      অণু গল্প

      পারিজাতের গল্প: নবজ্যোতি দাস

        রাস্তার পাশে বাঁ দিকের চায়ের দোকানে চা খেয়ে, বাঁ পকেট থেকে মিডিয়াম স্ট্যান্ডার্ডের গোল্ড ফ্লেকের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ধরালো, লাঞ্চব্রেক, রিং হল না।

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন