-তুমি নীরব না?
-হ্যাঁ শব্দ, আমি তোমার নীরব।
হঠাৎ এতদিন পর?
-আমি তোমার পাশেই ছিলাম,
এলাম কথা শুনব বলে।
-কথা? আমার কথার জন্ম তো তুমিই দিতে নীরব, তোমাকে হারালাম-
কথাও হারাল তার প্রাণ!
-তোমার কথার মাধুর্য কি আর নেই?
উফ্! কী দিন ছিল তখন-
ভালবাসা, প্রেম, আমি, তুমি একসঙ্গে জুটতাম।
সময় ছুটত আলোর মতো;
মাঝে মাঝে আবেগটাও এসে জুটত।
তুমি খোঁচা দিতে আর আমার মুখ থেকে নির্গত
গান-গল্প-কবিতা তোমার কানে
সুর হয়ে ধরা দিত।
কথা যেন শেষই হত না!
আর আজ, ব্যস্ততার সঙ্গে ঘর বেঁধে
তোমায় আর তোমার মধু-মাধুর্য সবই হারিয়েছি।
-সত্যিই কি তুমি আমায় ভুলতে পেরেছ?
-ভোলা তাকেই যায়, যাকে আমরা প্রয়োজনে স্মরণ করি।
তোমাকে তো আমি স্মরণই করিনা,
তাহলে ভুলব কেমন করে?
-হাসি কান্না দেখা করেনা?
-করে, হাসিটাও তো হুল্লোরবাজ
তবে ওকে বিশ্বাস করা কঠিন।
জানো, বরং কান্নটা খুব সরল-
চুপি চুপি ওর সঙ্গেই তোমার কথা বলি।
দেখেছ, নিজের কথাই বলে যাচ্ছি,
তোমার স্ত্রী কেমন আছে?
-হুঁ, নীরবতা ভালই আছে।
মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে গল্প ক'রো
দেখো, আবার নিজেকে খুঁজে পাবে।
শব্দ, আমি চিরদিন তোমার পাশেই আছি,
আর সারাজীবন তোমার পাশেই থাকব।
শুধু মাঝেমাঝে আমার দিকে একটু তাকিয়ো,
আমি তোমাকে জোগাব এগিয়ে চলার রসদ।
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।