Recent Post

নির্বাচন: বরুণ মুখোপাধ্যায়

নির্বাচন: বরুণ মুখোপাধ্যায়

ঘটনার সূত্রপাত অনেক আগে হলেও প্রায় পাঁচ বছর পর আবার তার সম্মুখীন হতে হবে এটা বোধহয় স্বপ্নেও কল্পনা করেনি স্বপ্ননীল। এবারের বিধানসভা ভোটের একদম শেষ দফায় তার ডিউটি আছে। প্রথম দুটো ট্রেনিং অনেক আগেই হয়ে গেছে। বাকি ছিল তৃতীয় পর্যায়ের ট্রেনিং। এখানেই জানা যায় ভোটগ্রহণের দিন তার সঙ্গে আর কে কে থাকবেন। স্কুল টিচারের চাকরিটা পাওয়ার পর এটাই তার প্রথম ভোটের ডিউটি। ফার্স্ট-পোলিং অফিসার হিসেবে অনেকখানি দায়িত্ব তার কাঁধে, কারণ সে যে পোলিং বুথে ভাইস-ক্যাপটেন। নিজে একবার মাত্র ভোট দিয়েছে আগের ইলেকশনে। আর একবার কী কারণে যেন ভোট দিতে যায়নি। তাই প্রতিটা ট্রেনিং খুব মন দিয়ে করলেও মনে মনে বেশ চিন্তিত ছিল সে। বারেবারে বলে দেওয়া হয়েছে যে প্রিসাইডিং অফিসার কোনও কারণে অসুবিধায় পড়লে তাকেই সবকিছু সামলাতে হবে। প্রিসাইডিং অফিসারের হ্যান্ডবুকটা পড়ে পড়ে সে বেশ মুখস্থ করে নিয়েছিল কিন্তু বাধ সাধল সেদিনের অলোকবাবুর ফোনে। স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক অলোকবাবুকে সবাই বেশ মানে। উপস্থিত বুদ্ধি আর অভিজ্ঞতার নিরিখে তাঁকে সকলেই সম্মান করে। সেদিন কথায় কথায় অলোকবাবু স্বপ্ননীলকে ফোনে বলেই ফেললেন, “ও সব বইটই পড়ে কিছু হবেনা বাবা, আসল খেলা তো স্নায়ুতে।”

এই কথা শুনে স্বপ্ননীল একটু দমে যায়। 

অলোকবাবু আরও বলেন যে, “যখন ক্ষমতাবান ষণ্ডামার্কা এজেন্ট এসে বলবে, স্যার, একটু বাইরে হাওয়া খেয়ে আসুন আমরা একটু আপনার কাজটা তাড়াতাড়ি করে দিচ্ছি। অথবা এই কথা শুনে প্রিসাইডিং সাহেব যখন আড়ালে ফোনে সেক্টরকে খবর পাঠাতে যাবেন তখন তো একটা ঠাণ্ডা কালো ধাতব ভারী অভ্যর্থনা প্রিসাইডিং অফিসারের জন্য অপেক্ষা করতেই পারে। তখন আশু কর্তব্য কী হওয়া উচিত একথা কি তোমার ওই বইতে পাবে বাবা? তাই বলি কী, বইয়ের বাইরের দিকেও একটু পড়াশুনা করো, বুঝলে?”

যাইহোক, এই কথা শুনে স্বপ্ননীলের অনেক রাতের সুখস্বপ্ন যে চাপা পড়ে গেছে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এর থেকেও বড়ো চাপা পড়া বিষয়টা যে আর কোনোদিন উদ্ধার করা যেতে পারে এটাও স্বপ্নে ভাবেনি স্বপ্ননীল। আসছি সে কথায়। কিন্তু এর আগে যেটা ঘটল সেটার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিল না সে।

পাঁচ বছর আগের এক স্মৃতি উসকে দিয়ে ট্রেনিং রুমের বড়ো দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন স্মৃতিকণার বাবা। মুহূর্তে স্বপ্ননীলের ভিতরে এক অদ্ভুত দোলাচলের সৃষ্টি হল। পাঁচ বছর আগের ঘটনাটা আবার মনে পড়ে গেল তার। মাস্টার-ট্রেনারের গলার আওয়াজে পরিস্থিতি একটু সহজ হওয়ার আগেই ঘটল দ্বিতীয় বিপর্যয়। টেবিলে মাথা নিচু করে মন দিয়ে শোনার মতো করে বসেছিল সে, হঠাৎ তার পিঠে আলতো একটা হাতের ছোঁয়ায় তাল কাটল, দেখল পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সেই পাঁচ বছর আগে দেখা হওয়া পঞ্চাননবাবু অর্থাৎ স্মৃতিকণার বাবা।

-“দেখি ভাই, একটু বসি।”

একটু সরে গিয়ে বসল স্বপ্ননীল। আবার যে দেখা হবে তাদের এটা সে ভাবেনি আর তার থেকেও বেশি চিন্তিত হল যে তাঁর সঙ্গেই ডিউটি করতে হবে তাকে। এই ট্রেনিং-এ সকল ভোটকর্মী নিজের নিজের টিমের সদস্যদের সঙ্গে বসবেন। একে একে বাকি পোলিং অফিসারেরা এলেন। স্বপ্ননীল আর একবার অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটারটায় চোখ বুলিয়ে নিল, দেখল যে পঞ্চাননবাবুর নাম আছে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে। তবে এখনও বোধহয় তিনি স্বপ্ননীলকে চিনতে পারেননি। ট্রেনিং শেষে সকলের সঙ্গেই সংক্ষিপ্ত পরিচয় পর্ব সেরে নিল সে, কেবল পঞ্চাননবাবু ছাড়া। পঞ্চাননবাবুও গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ, প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা কথাবার্তা বলতে পছন্দ করেন না তিনি।

বাড়ি ফিরে এসে কেবল সে কথাই ভাবছিল স্বপ্ননীল। পাঁচ বছর আগে যে গল্পটার ইতি টানা হয়ে গিয়েছিল সেটা আবার কেন  উসকে উঠল হঠাৎ করে?

কলেজে স্বপ্ননীল তখন ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। চৌখস ছাত্র বলতে যা বোঝায় তার উদাহরণ ছিল সে। বিভাগীয় অধ্যাপক থেকে কলেজের অন্যান্য অধ্যাপকদের প্রিয় ছাত্রতালিকার সর্বাগ্রে ছিল তার নাম। পড়াশুনা ছাড়াও সকলের সঙ্গে বেশ ভালোভাবে মিশতে পারত সে। তাই তার সম-অসম বয়সি বন্ধু সংখ্যাও অনেক ছিল। পড়াশুনা ছাড়া আর প্রায় কিছু না-জানা স্বপ্ননীলের কাছে কয়েকজন প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রী টিউশন পড়বে বলে প্রস্তাব দেয়, সেই দলে ছিল স্মৃতিকণাও। পড়ালে নিজেরও একটু আধটু চর্চা আর হাত খরচের টাকাটাও উঠে আসবে ভেবে সম্মতি দিয়েছিল সে। টিউশন বেশ ভালোই চলছিল তার। গুটিকয়েক প্রথম বর্ষের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেশ ভাবনাচিন্তা ছিল তার। শীতের মরশুমে পিকনিক, মাঝেমধ্যে বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন এগুলোও করত ছাত্রছাত্রীদের আবদারে। বেশ ভালোই চলছিল, হঠাৎ করে ফেব্রুয়ারি মাসের এক সন্ধ্যায় ব্যাচের সব থেকে বিচ্ছু ছেলে বাচ্চু স্মৃতিকণার হাতে একটা কাগজ আর গোলাপ গুঁজে দিয়ে তার কানে কানে কী যে একটা বলল। ব্যাস, তারপর থেকে সেই যে স্মৃতিকণা বেরিয়ে গেল আর এখানে ফেরেনি। বস্তুত আর কেউই ফেরেনি। এক এক করে সবাই বেরিয়ে গেল। ফ্যাল ফ্যাল করে কিছুক্ষণ বসে থেকে এখন তার কী করা উচিত সেটা স্বপ্ননীল ভাবার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুই মাথায় আসছিল না। হঠাৎ করে চোখ গেল সেই ভাঁজ করা কাগজের টুকরোটার দিকে। দেখল বড়ো বড়ো করে লেখা আছে, “পার্মানেন্টলি তোর শাড়িটা আমার বাড়ির ছাদে কবে থেকে রোদে মেলবি বল?”

এহেন প্রেমপত্রের কথা আগে কখনও শোনেনি স্বপ্ননীল।

যাই হোক এই ঘটনার পরদিন স্মৃতিকণার বাবা বিচ্ছু বাচ্চুটাকে না পেয়ে নিরীহ স্বপ্ননীলকে যাচ্ছেতাই অপমান করে গিয়েছিলেন। আর বলে গিয়েছিলেন এরপরও যদি টিউশনের নামে এই অভদ্রতাকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে স্বপ্ননীলের বারোটা বাজিয়ে দেবেন।

এসব কথায় স্বপ্ননীলের আত্মবিশ্বাসে আঘাত লেগেছিল। প্রশ্রয় দেওয়া তো দূরে থাক সে আর টিউশন পড়ানোর কথা মুখেও আনেনি। দিনকয়েক স্মৃতিকণার বাবার ভয়ে বাড়ি থেকে বেরই হয়নি সে। ছোটোখাটো ব্যাপারটা কী করে যে এত বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেল তার কূলকিনারা করতে পারেনি স্বপ্ননীল।

তারপর সে বছর ইলেকশনের অনেক আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় তাদের কলেজও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাড়াতাড়িই। এরপর আর তার জুনিয়ারদের সঙ্গে দেখা হয়নি বিশেষ। পরীক্ষার পর দূরের এক কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ায় পড়াশুনার চাপে এই বিষয়টা মাথা থেকে একেবারেই আউট হয়ে গিয়েছিল।

ট্রেনিং-এর সময় কোনও রকমে পঞ্চাননবাবুকে এড়িয়ে গেলেও বিপত্তি বাধল ভোটের আগের দিন ডিসিতে এসে। দেরিতে আসায় পঞ্চাননবাবু যে তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন সেটা বুঝতে পারল স্বপ্ননীল। এরপর সরঞ্জামগুলো মেলানোর সময় পঞ্চাননবাবুর অতর্কিত প্রশ্নবান বিদ্ধ করল স্বপ্ননীলকে।

-“এখন তাহলে কোথায় থাকা হয়?” 

হেড স্যারের ধমক খেলে যেমন সব তালগোল পাকিয়ে যায় তেমনই কিছুটা থতমত খেয়ে স্বপ্ননীল বলল,

-“অ্যাঁ, কিছু বলছিলেন?”

-“এখনও কি টিউশন পড়াও?”

এটা শুনে আর বুঝতে বাকি রইল না যে পঞ্চাননবাবু তাকে চিনতে পেরে গেছেন।

স্বপ্ননীল সংক্ষিপ্ত উত্তর দিল, “না।”

-“আমাকে চিনতে পেরেছ?”

-“আপনি কেমন আছেন?”

-“শরীর ভালো নেই, সামনের মাসে রিটায়ারমেন্ট। এবারের ভোটটা ভালোয় ভালোয় পেরোলে বাঁচি।”

স্বপ্ননীল কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু সরঞ্জামগুলো ভালোভাবে গুছিয়ে তাড়াতাড়ি করার নির্দেশে তা আর বলা হল না।

তল্পিতল্পা নিয়ে গাড়িতে উঠতে গিয়ে আর এক কাণ্ড। এ একেবারে অনভিপ্রেত; একটা ছাউনি দেওয়া লরি তাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। উঠতে গিয়ে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা সকলের; আর পঞ্চাননবাবুর অবস্থা তো বলার নয়। লরির ভিতর থেকে একজন ওনাকে হাত ধরে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন আর নিচে থেকে একজন ঠেলে তুলছেন যেন পঞ্চাননবাবু ভারী কোনো পোলিং মেটিরিয়াল।

পাঁচ বছর আগের পঞ্চাননবাবুর সঙ্গে এই পঞ্চাননবাবুর অনেক অমিল। বাইরের চেহারায় অনেক ক্ষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে সকলেই যে যার মতো তৈরি হয়ে সন্ধ্যের পর আগামীকালের কিছু কাজ আগে থেকে গুছিয়ে নিয়ে খাওয়া দাওয়ার পর ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ল। সকালে উঠেই যে মহাযজ্ঞে শামিল হতে হবে সকলকে।

মকপোল ভালোয় ভালোয় সম্পূর্ণ করে আসল ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সকলেই। প্রাথমিক কোনও সমস্যা না-থাকায় সকলেই বেশ স্বস্থিতে ছিলেন। ভোটপর্ব শুরুও হল বেশ নির্বিঘ্নে। বেলা যত বাড়ে ভোট দিতে আসা মানুষের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। দুপুরবেলা দেখা গেল লাইনটা বেশ লম্বা। হঠাৎ করে অনতিদূরে দুম দাম করে বোমা ফাটার আওয়াজ পাওয়া গেল। ভোটাররা যে যেদিকে পারল ছুটে পালাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৎপর হয়ে উঠল। এইসব দেখে ভয়ে জ্ঞান হারালেন পঞ্চাননবাবু।

সকলে স্তম্ভিত; এ যে গোদের উপর বিষ-ফোঁড়া! এখন কী করণীয়? ক্যাপ্টেনের পতনের পর সবাই তাকিয়ে রয়েছে ভাইস-ক্যাপ্টেন তথা ফার্স্ট পোলিং অফিসার স্বপ্ননীলের দিকে। অনেকেই বলে বিপদে মানুষের বুদ্ধিনাশ হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে স্বপ্ননীল যা ক’রে দেখাল তাতে তার উপস্থিত বুদ্ধির তারিফ না-করে থাকা যায় না। বাকি দু’জন পোলিং অফিসারকে দায়িত্ব দিল ইভিএম ইত্যাদি সামলে রাখার। এরপর যা ঘটল তাতে পোলিং এজেন্টরাও তৈরি ছিলেন না। বাইরে কাকে কী নির্দেশ দিয়ে এজেন্টদের ভিতরে রেখে দরজা দুটো ভিতর থেকে বন্ধ করে দিল। মোবাইলটা হাতে নিয়ে টকাটক কিছু লিখে ফেলল সে। এরপর একজন পোলিং এজেন্ট বাইরে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতেই স্বপ্ননীল হুংকার দিয়ে বলে উঠল যে এখন বুথের ভিতরে সকলেই নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন। বুথের ভিতর কেউ কিছু গোলমাল করলে এর ফল ভয়ংকর হতে পারে। তাই প্রিসাইডিং অফিসার সুস্থ না-হওয়া পর্যন্ত কেউ কোথাও যাবেন না।

আপাত শান্ত স্বপ্ননীলকে যারা দুটো দিন দেখেছে সেই বাকি দুজন পোলিং অফিসার এসব দেখে খুব আশ্চর্য হয়ে গেল। তাদের ভিতরে ভয়টাও যেন কোথাও উধাও হয়ে গেল। দেখল স্বপ্ননীল মরিয়া হয়ে পঞ্চাননবাবুর চোখে মুখে ঠাণ্ডা জলের ছিটে দিচ্ছে। মাথাটা তার কোলে নিয়ে পঞ্চাননবাবুর জ্ঞান ফেরাবার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাইরে বোমের আওয়াজ আর প্রায় শোনা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর পঞ্চাননবাবু চোখ মেলে তাকাতেই দরজায় শব্দ হল। দরজা খুলতেই স্বপ্ননীল দেখল সেক্টর অফিসার-সহ আরও কয়েকজন দাঁড়িয়ে। পঞ্চাননবাবুর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে একজন প্রিসাইডিং অফিসারকে নিয়ে আসা হয়েছে বদলি হিসাবে। 

এজেন্টদের মধ্যে কেউ একজন বলে, “স্যার আমাদের বুথটায় কি আর ভোট নেওয়া সম্ভব হবে? বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে এল যে।”

সেক্টর অফিসার জানতে চাইলেন আর কতজন ভোটার ভোট দিতে বাকি আছেন?

এজেন্টদের থামিয়ে ঘড়ি দেখে স্বপ্ননীল বলল, “এখনও পনেরো মিনিট সময় আছে, লাইনে দাঁড়াতে বলুন।”

সেক্টর অফিসার পঞ্চাননবাবুর শারীরিক অবস্থা ঠিক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অদ্ভুত কায়দায় উত্তর দিলেন, “ভোট হবে।”

পরিবর্তিত প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে যিনি এসেছিলেন তিনি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকা স্বপ্ননীল বোধহয় সেটা উপলব্ধি করে থাকবে।

পঞ্চাননবাবুকে ফার্স্ট পোলিং হিসাবে রেখে নিজে প্রিসাইডিং অফিসারের সমস্ত কাগজপত্র কাছে নিয়ে শুরু করল বাকি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।

না…ওই বুথে আর রি-পোল হয়নি। ভোটগ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই মিটে গিয়েছিল।

কিন্তু পরদিন বাড়ি ফিরে এসে সন্ধ্যের পর মোবাইলের মেসেজ দেখে একটু অস্বাভাবিক মনে হল স্বপ্ননীলের। পঞ্চাননবাবু পাঠিয়েছেন। সারমর্ম হল পঞ্চাননবাবু তাঁর মেয়ের পাত্র হিসাবে স্বপ্ননীলকে নির্বাচিত করেছেন, এবং তিনি এই প্রস্তাব নিয়ে সপরিবারে আগামীকাল স্বপ্ননীলদের বাড়ি আসছেন।

দেখা যাক নির্বাচনে কী ফল হয়! কোন পতাকা ওড়ে?

তবে একটা ফলাফল প্রায় নিশ্চিত যে স্বপ্ননীলের বাড়ির ছাদেই রোজ উড়বে স্মৃতিকণার ভেজা শাড়ি।

Author

  • Barun@Mukherjee

    নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।

5 thoughts on “নির্বাচন: বরুণ মুখোপাধ্যায়

  1. অপূর্ব লেখনী। যেন চোখের সামনে ঘটলো সব টা। আরও গল্পের অপেক্ষায় রইলাম ভাই

  2. গল্প তো গল্পই হয়।কিন্তু সিনেমা দেখলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আয়নাবন্দি: জিৎ সরকার (১/১২ পর্ব)
গদ্য- সাহিত্য গল্প ধারাবাহিক গল্প

আয়নাবন্দি: জিৎ সরকার

    গাড়িটা যখন বড়ো গেটের সামনে এসে দাঁড়াল তখন শেষ বিকেলের সূর্য পশ্চিমাকাশে রক্তাভা ছড়িয়ে সেদিনকার মতো সন্ধ্যেকে আলিঙ্গন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    শৈশবের গরমকাল: ঈশিতা পাল
    গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

    শৈশবের গরমকাল: ঈশিতা পাল

      আমার শৈশব ভাড়াবাড়িতে। তাই গরমের ছুটিতে কাকু, জেঠুদের বাড়ি টানা একমাস ছুটি কাটাতে যেতাম। মামাবাড়িও যেতাম। ছেলেবেলার গরমকাল জুড়ে বেশ কিছু মজার স্মৃতি আছে

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      চাদিফাঁটা আমার সেকাল: বন্দে বন্দিশ
      গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

      চাঁদিফাটা আমার সেকাল: বন্দে বন্দিশ

        মনে পড়ে যায় ছেলেবেলার সেইসব দিন, প্রচন্ড গরম থেকে স্বস্থির আরাম

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন