দুঃখ এলে হঠাৎ আসা অতিথির মতো
আসন পেতে বসতে দিই গুরুআদরে
মাথুরের পদ পড়ি মেঝেতে বসে
শরীর যেন বৃন্দাবনের নুয়ে পড়া গাছ।
অথচ সুখের আসার সময় হলেই
মুহূর্তে আসন ছেড়ে চলে যায় দুঃখ
যাবার এত তাড়া, আসছি পর্যন্ত বলে না।
আসন পাতাই থাকে যেখানে যেমনটি ছিল
সুখ এসে বসে। উলটে নিই পদাবলীর পাতা।
নবতরু ই-পত্রিকার তরুণ কবি সঞ্জীব ঘোষ ১৯৯৯ সালে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া থানার অন্তর্গত কালুরায়পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী আলবাঁধা উচ্চবিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণের পর বীরভূম জেলার বোলপুর কলেজ থেকে স্নাতক স্তরের পাঠ সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির প্রতি তিনি বিশেষ যত্নবান। এছাড়া ভালোবাসেন আবৃত্তি ও নাটক করতে। গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়ে ওঠা কবি সঞ্জীব ঘোষের লেখালেখি ও নাট্যচর্চার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর মামার বাড়িতে দাদু ও মামাদের গানের আসর ও মঞ্চাভিনয় দেখে। তাঁর কথায়, "বিদ্যালয় জীবনে 'স্কুল-মাগাজ়িন'-এ প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় তারপর বাংলা বিষয়ে পড়াশোনা ও মনের ইচ্ছেমত লেখালেখি চলতে থাকে। কিছু পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হওয়ায় উৎসাহিত হয়েছি ও এইভাবেই লেখালেখির অভ্যাস অব্যাহত রাখতে চাইছি।"
সুখ – দু:খ বয়ে নিয়ে যায় বার্তা।