আজ তার বিবাহের দিন। মেঘবর্ণ সকালে
গাত্রহরিদ্রা শেষ করে, বসে আছে আমার কবিতা।
পাশে, জলের গাড়ির মতো বান্ধবীর দল হইচই করে।
তাদের নিখিল হাসিতে রৌদ্রকুচিরা পিছলে পিছলে যায়!
লজ্জায় পায়ের পাতা, ঢেকে নিল কেউ!
ভোরের আলোর মতো মুখে, সুদূর জলের রেখা;
সামান্য উঠোনে হাঁস; বেড়ায় ফুটেছে সীমফুল; যেন আমারই প্রস্তাব হয়ে, তার বাড়ি বেড়াতে এসেছে!
তোমার মুখের পাশে এসে নক্ষত্রভাসিত আমি
ভুলে গেছি আমার আবাস ছিল কিনা, কিংবা কোনও দেশ
যদিও, প্রেমিক ও শরনার্থীর কোনও দেশ থাকে নাকি!
মথিত ফুলের দিকে শুধু প্রজাপতি সৎ; আর সুদীর্ঘ ডাকাতি...
তরুণ উঠতি প্রজন্মে লেখনীর হাত ধরে উঠতে থাকা লেখক মৌসম সামন্তের জন্ম ২০০৪ সালে। কলকাতায় শিয়ালদহ বউবাজার অধিকৃত অঞ্চলে তার বড়ো হয়ে ওঠা। ছাত্র হিসেবে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং হিন্দু স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। ভবিষ্যতে এখন তিনি সোদপুরের গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি নামক কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছেন। লেখালিখি হিসেবে কবিতা,গল্প দুটোই লেখেন। লেখালিখি নিয়ে তাঁর চর্চা শুরু হয় ২০১৮ সাল থেকে। লেখালিখি,পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষকতা হিসেবে কোচিং-ও করান। এছাড়া তিনি একজন ভয়েস আর্টিস্ট। বিভিন্ন অডিওস্টোরিতে নিজের ভয়েস দিয়েছেন,আবার দিচ্ছেন-ও। এছাড়াও তাঁর অনেক গল্প অডিওস্টোরিতে রুপান্তরিত হয়েছে। তার লেখা প্রথম উপন্যাস "The case of Matchbox" থেকেই তার উপন্যাস লেখা শুরু। ইতিমধ্যে তিনি "কবি সম্মাননা", "Felling Agile Awards", "নাট্য উৎসব সম্মাননা", "কাব্যকুসুম সম্মাননা ২০২২", "কলরব স্মৃতি স্মারক", "শব্দের কথপোকথন সম্মাননা", "সাহিত্য বিতান সম্মাননা ২০২২" পেয়েছেন। নবীন হিসেবে লেখালেখির জগতে আরও অনেককিছু শিখতে, জানতে তিনি বিশেষভাবে আগ্ৰহী। ভবিষ্যতে তিনি তাঁর নিজের লেখা আরও প্রসারিত করে সাহিত্যের জগতে স্মরণীয় করে রাখার প্রচেষ্টায় আছেন।