জীবন কেটে যায়।
বর্ষার বেগবতী
হেমন্তে শোকাতুরা।
বালুচর বুকে
জ্যোৎস্নার আনাগোনা।
বাহু পাশে প্লাবন প্রান্তর
আজ বড়ো অচেনা।
প্রিয়জন, প্রয়োজন
প্রাচুর্য প্রলোভন,
সৃজন শিহরণ
সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া
এতো সহজ না।
তবুও ছেড়ে যেতে হয়।
পায়ে পায়ে শিকড় শিকল
মাটির গন্ধ এখনও
শরীর মনে।
জীবন কি জানে এত শত?
জীবন চলে নিজের তালে।
জীবন কেটেই যায়
জীবনের মতো।
সাহিত্য চর্চার শুরু যাঁর বিশ্বভারতী(শান্তিনিকেতন)-র পাঠভবনে সাহিত্যসভার হাত ধরে সেই সরোজ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৩ সালে অধুনা পশ্চিম বর্ধমান জেলার বনকাটি গ্রামে। ছাত্রাবস্থার সাহিত্য চর্চার ধারা আজও তাঁর মধ্যে অব্যাহত। ছড়া এবং কবিতায় তাঁর অবাধ বিচরণ। ছাত্রাবস্থাতেই লিখে ফেলেছিলেন বেশ কিছু নাটক; তার মধ্যে স্বনির্দেশনায় ছাত্রাবাসের আবাসিকদের নিয়ে মঞ্চস্থ করা হয়েছিল কিছু।
ইংরাজী সাহিত্যের ছাত্র শ্রীচট্টোপাধ্যায় বর্তমানে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কথায়, "কলমজাত সাহিত্যসৃষ্টি আমার পেশা নয়, তবে নেশা অবশ্যই। আজও তাই সাহিত্যের ছাত্র হিসাবেই পরিচিত হতে বেশি ভালো লাগে।"
এইরকম এক প্রচার বিমুখ সাহিত্যিক কলম ধরেছেন নবতরু ই-পত্রিকায়।