Recent Post

গ্রীষ্মের দিনের টুকরো কথার স্মৃতি:

প্রিয়াংকা রায়

গ্রীষ্মের দিনের টুকরো কথার স্মৃতি:
প্রিয়াংকা রায়
গ্রীষ্মের দিনের টুকরো কথার স্মৃতি: প্রিয়াংকা রায়
ছেলেবেলায় গ্রীষ্মকাল কেমন ছিল সেটা ভাবলে খুব যে কষ্ট পেয়েছি তা মনে নেই, তবে কষ্ট কমানোর উপায়গুলো বেশ মনে পড়ে। একটু আলাদা মত যেটা, সেটা একটু বলি। এই যেমন চরম গরমের দুপুরবেলায় যখন উত্তপ্ত হাওয়া হোস্টেলের জানালার গ্রিলের মধ্যে দিয়ে হু-হু করে ছুটে আসত তখন ভাত ঘুমের আমেজটা মুহূর্তের মধ্যেই পালাত। 
তাই কী করতাম জানো? জানালার পর্দাগুলোয় জল দিয়ে ভিজিয়ে দিতাম আর সেই ভেজা কাপড় ভেদ করে যে হাওয়া আসত সেটা হত বেশ ঠান্ডা।
এই গরম ঠান্ডার সাইন্স বা বিজ্ঞানটা কিন্তু তখনও শিখিনি কেবল প্রয়োগটা জানতাম। অদ্ভুত তাই না?
হোস্টেলে ফ্রিজ ছিল না। দুপুরবেলায় কলের জল হয়ে যেত আগুনের মত গরম।   ঠান্ডা জল কী করে খাব? আবার বিজ্ঞানের প্রয়োগ। না জেনেই। দুই লিটারের জলের বোতলে জল ভরে তাতে ভেজা মাফলার আর গামছা জড়িয়ে রেখে দিতাম। গামছার জল শুকালে আবার ভিজিয়ে দিতাম। এমনি করে কয়েক ঘন্টা পরে দেখতাম বোতলের জল ঠান্ডা হয়ে গেছে। তৃপ্তি করে সেটাই খেয়ে ঘুম। আহা।
এমন দিনগুলোর মধ্যে হঠাৎ যেদিন কালবৈশাখী ঝড় হত সেদিন পাগলা হাওয়ার তান্ডবে শরীর মন ঘর পৃথিবী আপনিই সব ঠান্ডা হয়ে যেত।

Author

  • প্রিয়াংকা রায়

    যাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে নানান ছবি, শব্দেরা কথা কয়; তিনি হলেন কবি প্রিয়াংকা রায়। জন্ম ১৯৮৪ সালে কলকাতা শহরে। তাঁর বাল্যকালের অনেকটা সময় কেটেছে শান্তিনিকেতনে আর কিছুটা সময় কলকাতায়। বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবনে আবাসিক ছাত্রী হিসাবে, এরপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য বেশ কিছু খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সৌভাগ্য হয় তাঁর। এগুলির মধ্যে ডব্লুবিইউটি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। তিনি একাধারে এম টেক পাঠ সম্পূর্ণ করেন এবং পরবর্তীতে রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেন। কবি শ্রীমতী রায় বর্তমানে বোলপুরের বাসিন্দা এবং শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। এরই সঙ্গে তিনি ভালোবাসেন সংগীত চর্চা, হাতেরকাজ, সেলাই, খেলাধুলা প্রভৃতি। তাঁর কথায়, "লিখতে গেলেই মনে হয় বিশালত্বের পাশে ক্ষুদ্রের চিত্রলিপি।" ছেলেবেলায় পাঠভবনের শিক্ষা ও পরিবেশ তাঁর আত্মকথনের সাহস। পাঠভবনের সাহিত্যসভা ও নানা অনুষ্ঠানের হাত ধরে একটু একটু করে লিখতে শেখা, মনের ভাব পেন্সিলের আঁকিবুকিতে খাতায় ফুটিয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে যে অভ্যাসের সূচনা হয়েছিল আজও সেই সাধনা তাঁর অব্যাহত রয়েছে। সেই ছবিই ফুটে উঠেছে নবতরু ই-পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর বিভিন্ন কবিতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আয়নাবন্দি: জিৎ সরকার (১/১২ পর্ব)
গদ্য- সাহিত্য গল্প ধারাবাহিক গল্প

আয়নাবন্দি: জিৎ সরকার

    গাড়িটা যখন বড়ো গেটের সামনে এসে দাঁড়াল তখন শেষ বিকেলের সূর্য পশ্চিমাকাশে রক্তাভা ছড়িয়ে সেদিনকার মতো সন্ধ্যেকে আলিঙ্গন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    শৈশবের গরমকাল: ঈশিতা পাল
    গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

    শৈশবের গরমকাল: ঈশিতা পাল

      আমার শৈশব ভাড়াবাড়িতে। তাই গরমের ছুটিতে কাকু, জেঠুদের বাড়ি টানা একমাস ছুটি কাটাতে যেতাম। মামাবাড়িও যেতাম। ছেলেবেলার গরমকাল জুড়ে বেশ কিছু মজার স্মৃতি আছে

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      চাদিফাঁটা আমার সেকাল: বন্দে বন্দিশ
      গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

      চাঁদিফাটা আমার সেকাল: বন্দে বন্দিশ

        মনে পড়ে যায় ছেলেবেলার সেইসব দিন, প্রচন্ড গরম থেকে স্বস্থির আরাম

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন