Recent Post

গজলডোবা ভ্রমণ: মিঠু ঘোষ

গজলডোবা ভ্রমণ: মিঠু ঘোষ

ভ্রমণ কথাটা শুনলেই মন যেন কেমন আবেগে ভেসে যায়। আমি মনে করি ভ্রমণের নেশা সবার, নিজেদের আনন্দ দেবার জন্য কিংবা জীবনের ছন্দের একঘেয়েমি দূর করতে ভ্রমণ যেন এক অপূর্ব কথা। সেই রকমই একটি আনন্দদায়ক মন ভাসিয়ে নেবার ভ্রমণের জায়গা সবাইকে জানাতে চাই। 

উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি শহরের পাশেই রয়েছে গজলডোবা। কলকাতা থেকে যারা আসবেন তারা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে মাত্র ৩৫কিমি পথ চলে আসবেন সুন্দর গজলডোবা ভ্রমণ উপভোগ করতে। সেখান থেকে সবাই ট্যাক্সি,ভ্যান, টোটো করেও যেতে পারেন গজলডোবা। দুর্দান্ত ব্যারেজ অপরূপ সাজে সজ্জিত উত্তরবঙ্গের সবুজে ঘেরা, এই দর্শনীয় স্থান। পাশেই রয়েছে থাকবার সুন্দর সুন্দর জায়গা তা ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন কটেজ। নানারকম ফুলের গন্ধে মাতানো পরিবেশে যেন মন ভরে যাবে। তাছাড়াও যেটা সবচেয়ে দেখবার বিষয় তা হল রকমারি পাখির দর্শন। বিভিন্ন পরিযায়ী পাখিরা ওখানে মহা আনন্দে ঘুরে বেড়ায়। ওদের কলরব মনকে যেন ব্যাকুল করে তোলে, তিস্তা নদীর অপরূপ সৌন্দর্য মনকে যেন ভরিয়ে তোলে। আপনারা চাইলে নৌকো করেও ঘুরে বেড়াতে পারেন। পাশে ছোট ছোট খাবারের দোকানগুলিতে বিভিন্ন রকমারি খাবার যেন গন্ধে পাগল করে দেয়, তাছাড়াও তিস্তা নদীর বরোলি মাছ, চিংড়ি মাছ ও বিভিন্ন চপের স্বাদ যেন ভোলা যায় না। এই সমস্ত খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়বেন বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের উপভোগে, জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে অসাধারণ অনুভূতি যেন গা শিউরে উঠে। তাছাড়াও দেখতে পাবেন বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ি।

অসাধারণ পুরোনো রাজবাড়ির পাশেই রয়েছে সুন্দর দিঘির মনোরম পরিবেশে বসবার জায়গা এবং সন্ধ্যেবেলায় মাঝে মাঝে ওখানে বসে নৃত্য ও গানের অনুষ্ঠান। দিঘির জলে পদ্ম ফুলের সমাহার যার সৌন্দর্য মনকে ভরিয়ে তুলবে। আর দেখতে পাবেন বৈকুণ্ঠপুর ভ্রামরি দেবীর মন্দির যা গজলডোবার অনেকটা কাছেই, যেখানে সতীর বাম চরণ পড়েছিল। সতীর সেই চরণে নিত্য পুজো হয়। মা ভ্রামরী দেবী অনেক জাগ্রত দেবী রূপে সবাই জানেন, এই মন্দিরকে ঘিরে অনেক কথা আছে।

Author

  • মিঠু ঘোষ

    ১৯৭৫ সালে আলিপুরদুয়ারে জন্মগ্রহণ করেন লেখিকা মিঠু ঘোষ। বাল্যকাল কাটে জলপাইগুড়ি শহরের অনতিদূরে তোরোলপাড়া গ্রামে। বিদ্যালয় জীবন কেটেছে গ্রামেই তারপর শহরের বিদ্যালয় থেকে পাঠ সম্পূর্ণ করে প্রসন্নদেব কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অন্যান্য কাজের মধ্যেই তাঁর শখ কবিতা ও গল্পের চর্চা। অবসর সময়ে কবিতা আর গল্প বই পড়তে ভালোবাসেন তিনি। তাঁর কথায়, "কবিতা আমার জীবন।" বাংলা ভাষার পাশাপাশি দখল আছে হিন্দি ভাষাতেও। স্নাতক স্তরে এই দুটি বিষয়েই তিনি অধ্যয়ন করেন। এছাড়াও তিনি চান লেখালেখির পাশাপাশি জীবনে মানুষের জন্য কিছু কাজ করতে। বিভিন্ন কবি এবং সাহিত্যিকদের লেখা ওনাকে উৎসাহিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ভ্রমণ কাহিনি

স্বপ্ন উড়ান(৩য় পর্ব, ইউরোপ ভ্রমণ,প্যারিস): তুলি মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী

    শেন নদীর দুপারে ২০টি জেলা এবং জনবসতি নিয়ে অবস্থিত প্যারিস। ছবির মতোই সুন্দর প্যারিস। ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার নীল জল আর আকাশ।

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    ভ্রমণ কাহিনি

    স্বপ্ন উড়ান(২য় পর্ব:লন্ডন ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন): তুলি মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী

      গুড বাই লন্ডন বলে সবাই রওনা দিলাম। যাত্রাপথের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে দেখতে। ইউকে’র ভিসা আলাদা। পুরো ইউরোপের সেনজেন ভিসা। এবার আবার লাইনে দাঁড়াতে হল। যে ভিসা নিয়ে ইউকে ঢুকেছি তা চলবে না। এক লম্বা লাইনে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেল ছাড়া পেতে। ক্রুজে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ঢুকব প্যারিস।

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      ভ্রমণ কাহিনি

      স্বপ্ন উড়ান(কলকাতা-দুবাই-হিথরো): তুলি মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী

        স্বপ্নের জাল বোনা শুরু হয়েছিল কয়েকমাস আগেই। নির্ধারিত দিনে পৌঁছে গেলাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। অন্তর্দেশীয় উড়ানে বহুবার সফর করেছি কিন্তু দেশের বাইরে দ্বিতীয় বার। এবার দুবাই হয়ে লন্ডন।

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন