খেলতে খেলতে বেলা প্রায় শেষ,
এবার শুধু বদলে নেওয়া বেশ।
ভাবছি মনে এবার হবে বেশ!
ভয় ভাবনা ভাসিয়ে দিয়ে
যাবো নিরুদ্দেশ।
হঠাৎ করে মনের ঘরে
চমকে দেখি দুচোখ ভরে-
ধূসর মেঘের দল!
করছে কোলাহল।
আবার একটা খেলা-
শেষ হয়ে যায় বেলা,
শেষ হয় না খেলা।
অন্ধকারে মনের ঘরে
ভাঙা-গড়া খেলা-
গড়ে ভাঙা, ভেঙে গড়া
নিত্য নতুন করে,
এমনি ভাবেই ভেসে চলা
জীবন সাগর তীরে।
ঢেউয়ের 'পরে ঢেউ আসে যায়
রাত্রি কাটে ভোরের আশায়
নিত্য নতুন সুরে।
কোন খেলা যে খেলব কখন
ভাবনা শুধু এই সারাক্ষণ ।
বৃহৎ ভুবন, ক্ষুদ্র জীবন
ক্ষুদ্র জীবন ভেলা,
ডুবছি আমি, ভাসছি আমি
কি বিচিত্র লীলা!
তোমার সুরে
বারে বারে
অনন্ত পথ চলা,
তোমার সাথে
আজও আমার
শেষ হয় না খেলা!
সাহিত্য চর্চার শুরু যাঁর বিশ্বভারতী(শান্তিনিকেতন)-র পাঠভবনে সাহিত্যসভার হাত ধরে সেই সরোজ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৩ সালে অধুনা পশ্চিম বর্ধমান জেলার বনকাটি গ্রামে। ছাত্রাবস্থার সাহিত্য চর্চার ধারা আজও তাঁর মধ্যে অব্যাহত। ছড়া এবং কবিতায় তাঁর অবাধ বিচরণ। ছাত্রাবস্থাতেই লিখে ফেলেছিলেন বেশ কিছু নাটক; তার মধ্যে স্বনির্দেশনায় ছাত্রাবাসের আবাসিকদের নিয়ে মঞ্চস্থ করা হয়েছিল কিছু।
ইংরাজী সাহিত্যের ছাত্র শ্রীচট্টোপাধ্যায় বর্তমানে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কথায়, "কলমজাত সাহিত্যসৃষ্টি আমার পেশা নয়, তবে নেশা অবশ্যই। আজও তাই সাহিত্যের ছাত্র হিসাবেই পরিচিত হতে বেশি ভালো লাগে।"
এইরকম এক প্রচার বিমুখ সাহিত্যিক কলম ধরেছেন নবতরু ই-পত্রিকায়।