
কেন এই পত্রিকার ভাবনা?-বরুণ মুখোপাধ্যায়
এই ভাবনাটা আমার মাথায় অনেকদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। ছাত্রজীবনে দু-একটি পত্রিকা তৈরির বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে হাতেখড়ি হয়েছিল বটে কিন্তু সেখানে আমার অবদান সামান্যই ছিল। লেখা সংগ্রহ, লেখা বাছাই, ছাপানোর জন্য প্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, প্রুফ সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে আনাগোনা, ছেপে আসা নতুন পত্রিকার গন্ধ নেওয়া ইত্যাদি ছোটখাট অভিজ্ঞতা আর কি!
অনেক ছোটবেলায় আমি আর আমার ভাই মিলে প্র্যাকটিক্যাল পাতায়(বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহৃত) হাতে-লেখা একটা পত্রিকা তৈরি করেছিলাম…বেশ মনে আছে। তার রেশ ছিল অনেকদিন। নিজেরাই সেই বাঁধানো মলাটের ভিতরে পাতাগুলিকে যত্ন করে ভরে মোটা সুতো দিয়ে বেঁধে খাতার মতো করতাম, আমার ধারণা অনেকেই এমনটা করেছেন। সেই খাতার বাঁ-দিকের সাদা পৃষ্ঠায় অপটু হাতে প্রাসঙ্গিক ছবিও এঁকেছিলাম কিছু। ছিল গল্প, কবিতার মতো বিষয় আর ছিল শব্দছক। তবে বাড়ির বাইরে তেমন কেউ সেটা দেখেননি মনে হয়।
এরপর নিজের লেখা কিছু কবিতা, ছড়া হাতে গোনা দু-একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, গুনগত মানের অভাবে বাদ গেছে অনেক বেশি। এটা আমাকে লিখতে উৎসাহিত করেছে। নিজের লেখা ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়ার লোভে অনেক জায়গায় টাকা পয়সা দিয়েও ঠকেছি। আবার গুণীজনের সান্নিধ্য লাভের আশায় লাভ-লোকসানের হিসাব না কষে বিভিন্ন জায়গার সাহিত্য আসরে চলে গিয়েছি অপাংক্তেয়ের মতো। সেখানেও মন্দ-ভালো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এনেছি।
তাই পূর্ব অভিজ্ঞতার ফল স্বরূপই হোক আর সৃষ্টি সুখের উল্লাসেই হোক, এই ‘নবতরু- ওয়েব ম্যাগাজিন’ তৈরির ক্ষ্যাপামি!
নবতরু বিকশিত হোক,
অন্তরের যত যত দুঃখ শোক
সব যাক ধুয়ে মুছে।
শুধু বন্ধু তুমি থেকো কাছে।