কথা দিয়ে যদি কথা রাখতে না-ই পারলে তবে কথা দিলে কেন?
ভালোবাসি বলে যদি ভালোবাসার মূল্যই না বুঝলে, তাহলে ভালোবাসি বললে কেন?
কাছে আসার পর, কাছে আসার ব্যাকুলতা যদি ধরে রাখতে না-ই পারলে,
তাহলে কাছে আসার কি প্রয়োজন ছিল?
ব্যথা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করে, ব্যথাকে লালন করে,
ব্যথা উপহার দেওয়ার উদারতা না দেখালেও পারতে।
একাকিত্ব থেকে পদ্মের মতো তুলে এনে, আবার অবহেলার একাকিত্বে ঠেলে,
আমায় একাকিত্বকে আপন করতে বলে গেলে কোন ভালোবাসার জোরে?
ভালবাসায় চোখের জলের আনন্দকে উপভোগ করার আগেই—
ভালোবাসাকে ছোট করে চোখের জলকে নাটক আখ্যা দিয়ে,
দিয়ে গেলে চিরতরের জন্য অবাধ চোখের জল।
লেখিকা কাজরী মজুমদার ১৯৭৫ সালে বাঁশদ্রোণীতে জন্মগ্রহণ করেন। যাদবপুর বিদ্যাপীঠ থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। বর্তমানে গৃহবধূ কাজরীদেবী লেখালেখি ছাড়াও সেলাই, কবিতাপাঠ-সহ নানান সৃজনশীল কাজের মধ্যে নিজেকে যুক্ত রাখেন। ২০১৫ সাল থেকে প্রথম লেখালেখি শুরু করেন তিনি। আছে নিজের একটি ব্লগ। ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ছয়টি বই এবং ইউটিউবে রয়েছে তাঁর বেশ কিছু অডিও গল্প। পেয়েছেন সাহিত্য সম্মাননা।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ/ই-বুকের তালিকা:
১. ফিরে দেখা(২০১৭)
২. গল্পের রামধনু(২০১৯)
৩. চেনা মুখ(২০২০)
৪. থাকবো আমি তোমার মনে(২০২১)
৫. গোপনো কথাটি(২০২১)
৬. রাগ করোনা কবিতা(২০২৩)
এ ছাড়া বেশ কিছু গল্প, কবিতা দেশ-বিদেশের ই-ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।