কিছু বালক জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারেই
মূল রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল,
তারা সম্যক অর্থে ঈশ্বরের ভজনা
জানত না।
কিছু বালক নিষ্ঠাভরে নামাজ পড়ছিল,
কিছু বালক অভ্যাসবশতঃ
মন্দিরে প্রণাম ঠুকছিল,
কিছু বালক গির্জাকে স্মরণ করে
বুকে ক্রশ আঁকছিল,
আর কিছু বালক দুটো রুটির জন্য
হেঁটে যাচ্ছিল অনেকটা প্রতিকূল পথ।
ওরা সবাই বালক ছিল।
রাস্তার ধারে কিছু ফুল ছিল,
কিন্তু তা দেখবার মতো সময় তাদের ছিল না।
কিছু বালক মূল রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল….
লেখক ও কবি গোবিন্দ মোদক ১৯৬৭ সালে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর নিকটবর্তী রাধানগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কানাই লাল মোদক ও মাতা প্রতিভা রানি মোদক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রথম জীবনে অধ্যাপনা ও পরবর্তীতে ভারতীয় ডাক বিভাগে কর্মরত।
বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও সাহিত্যের প্রতি ছিল তাঁর ঐকান্তিক অনুরাগ। মূলত ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, রম্য রচনা, উপন্যাস ইত্যাদি লিখলেও ছোটদের জন্য ছড়া-কবিতা ও গল্প লেখার মধ্যেই খুঁজে পান অধিকতর তৃপ্তি। লেখালেখি ছাড়াও ভালোবাসেন বই পড়া, গান শোনা, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, ভ্রমণ, সাহিত্য বিষয়ক নির্ভেজাল আড্ডা। সাহিত্যিক গোবিন্দ মোদক একটি পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত আছেন। তাঁর লেখা প্রথম কবিতা 'প্রেম', প্রথম গল্প 'হরিপদ'র গল্প' ও প্রথম কিশোর উপন্যাস 'গুপ্তধনের খোঁজে' প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। এখনও তাঁর লেখা নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়ে চলেছে দেশ ও বিদেশের অজস্র পত্র-পত্রিকা ও দৈনিকে।
প্রকাশিত গ্রন্থ: হারিয়ে গেছে ডাক-বাক্স (২০২১), ধিতাং ধিতাং বোলে (২০২২), অদ্ভুত যত ভূতের গল্প (২০২২)।
অনবদ্য।