ইয়া বড়ো দাড়ি রাখে ইকবাল খান
খুব যত্ন করে দাড়ির, দাড়ি-ই তার প্রাণ!
টাকে বড়ো টিকি রাখে দামোদর পাল
টিকিটাতে বেঁধে রাখে জবা ফুল লাল!
ইয়া বড় গোঁফ রাখে এন্টনি গোম
পকেটে লুকিয়ে রাখে চকলেট বোম!
বেশ বড়ো জুলফিটা শৈলেন্দর সিং
রোজ ভোরে খুব নাচে ধিং তাক ধিং!
ঝাঁকড়া চুল রাখে বটে সম্বরম হরি
কোমরেতে বেঁধে রাখে মোটা এক দড়ি!
পাঁচজনে একসাথে থাকে এক ঘরে
কেউ কারো কথাবার্তা বুঝতে না পারে!
তাই মনে বড়ো ব্যথা এরা পাঁচজন
কানে নিয়ে বসে থাকে মোবাইল ফোন!!
লেখক ও কবি গোবিন্দ মোদক ১৯৬৭ সালে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর নিকটবর্তী রাধানগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কানাই লাল মোদক ও মাতা প্রতিভা রানি মোদক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রথম জীবনে অধ্যাপনা ও পরবর্তীতে ভারতীয় ডাক বিভাগে কর্মরত।
বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও সাহিত্যের প্রতি ছিল তাঁর ঐকান্তিক অনুরাগ। মূলত ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, রম্য রচনা, উপন্যাস ইত্যাদি লিখলেও ছোটদের জন্য ছড়া-কবিতা ও গল্প লেখার মধ্যেই খুঁজে পান অধিকতর তৃপ্তি। লেখালেখি ছাড়াও ভালোবাসেন বই পড়া, গান শোনা, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, ভ্রমণ, সাহিত্য বিষয়ক নির্ভেজাল আড্ডা। সাহিত্যিক গোবিন্দ মোদক একটি পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত আছেন। তাঁর লেখা প্রথম কবিতা 'প্রেম', প্রথম গল্প 'হরিপদ'র গল্প' ও প্রথম কিশোর উপন্যাস 'গুপ্তধনের খোঁজে' প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ সালে। এখনও তাঁর লেখা নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়ে চলেছে দেশ ও বিদেশের অজস্র পত্র-পত্রিকা ও দৈনিকে।
প্রকাশিত গ্রন্থ: হারিয়ে গেছে ডাক-বাক্স (২০২১), ধিতাং ধিতাং বোলে (২০২২), অদ্ভুত যত ভূতের গল্প (২০২২)।
নিঝুম-নিঃশব্দে ঘুমিয়ে পড়েছে পাড়া রাত বাড়ার সাথে সাথে জোনাকিরাও…. আলো আঁঁধারির পথে ফোকাস হয়ে উঠেছে সময় কিছু মুহূর্ত শিরদাঁড়া উঁচু করে বলে ভালো থাকিস ‘কথাকলি’
কথা দিয়ে যদি কথা রাখতে না-ই পারলে তবে কথা দিলে কেন? ভালোবাসি বলে যদি ভালোবাসার মূল্যই না বুঝলে, তাহলে ভালোবাসি বললে কেন? কাছে আসার পর, কাছে আসার ব্যাকুলতা যদি ধরে রাখতে না-ই পারলে, তাহলে কাছে আসার কি প্রয়োজন ছিল?