শ্রাবণ মাসের মাঝরাতে অঝোর বৃষ্টিতে আবার কানে এলো ওদের কান্না। এখন কান্নার মতো লাগলেও সেই সময় এটা ওদের ভালোবাসার আলাপন ছিল। বন্দিনী বন্ধুকে প্রেম বন্ধনে জড়াতে স্বাধীনচেতা বান্ধবী লুকিয়ে চলে আসত যখন তখন। মাঝরাতে বা দুপুরে। শুধু খেয়াল রাখত বাড়ির অন্য সদস্যরা নেই বা ঘুমিয়ে। তারপর ভেনট্রিলোকুইস্টের মতোই মুখ ঠোঁট শরীর না নড়িয়ে গলা দিয়ে একটা অদ্ভুত আওয়াজ করত দুজনেই। তাতে রাগ অভিমান আদর ভালোবাসা আর বারবার মিলিত হবার বাসনা গলে গলে ঝরে ঝরে পড়ত। দুজন একসাথে ঘোরার স্বপ্ন বুনতো। জাত ধর্মের অমিলে যে পাঁচিল ছিল দুজনের মাঝে তা অতিক্রম করার পরিকল্পনাও হয়তো করত ওরা দুটিতে।

হঠাৎ বদলিতে ঘরবন্দী বন্ধুকে নিয়ে রাতারাতি চলে যেতে হয় অচেনা অন্য শহরে কিছু না জানিয়ে।
এরপর বান্ধবীর কী হয়েছিল তা আর জানা হয়নি।
কিন্তু কোনো বিনিদ্র রাতে আজও শুনতে পাই ওদের সেই আলাপন যা এখন প্রেম না প্রলাপ বুঝি না…..
কেবল বুঝি এভাবে ওদের আলাদা করা ঠিক হয়নি…..
অঝোর বৃষ্টি আর মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ ঝলসানো আলোয় জানলায় এসে দাঁড়াই, কিন্তু দেখতে পাই না কাউকে ….
অসাধারণ অনুগল্প । একটা বিষন্নতার রেশ রেখে গেলো । অপার মুগ্ধতা রেখে গেলাম ।