এখন অনেকেই বলেন বই পড়ার দিন শেষ, বইয়ের দোকান, লাইব্রেরী, বইমেলা প্রসঙ্গে এমন কথা প্রায়ই কানে আসে। কিন্তু আমার তেমনটা মনে হয়না। হ্যাঁ, একথা ঠিক যে আগেকার দিনে বই পড়ার যে রেওয়াজ ছিল এখন আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবসর বিনোদনের অন্যান্য উপকরণে ঘর ভর্তি করে ফেলেছি অনেকটাই, তাই বই পড়াটা আর সেইভাবে সিরিয়াসলি হচ্ছে না।

অনেকেই এই বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে দায়ী করেন। তাঁরা বলেন, এরা নাকি বই পড়া একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বইমেলায় শুধু ভিড় মেপে বলছিনা, খোদ ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নবপ্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ধৈর্য্য দেখলে সেই ভুল ভাঙবেই। বই পিপাসু না হলে বইমেলায় কেন? ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে তো দিব্যি পার্কে বসে সময় কাটানো যায়।
তাই পাঠ্য বই ছাড়া অন্যান্য বই পড়া যে শিকেয় উঠেছে একথা বলা উচিত হবে না। বই বা পত্রিকা এখনও সমানভাবেই গ্রহণযোগ্য। তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে হাতে ছোঁয়া বই বা পত্রিকা ফেলে ওয়েব ভিত্তিক ম্যাগাজিন কেন? এই প্রসঙ্গে বলি… ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইল, ল্যাপটপে চোখ রেখে এই জেন এবং এদের দেখাদেখি বয়স্ক মানুষরাও দিব্যি সময় কাটাচ্ছেন, কাজ করছেন, তাই এদের হাতে কিছু থাকুক না থাকুক একটা স্মার্টফোন নিশ্চয় সবসময়ের সঙ্গী হিসাবে থাকবেই, আর এই চিরসঙ্গীটি যদি তার সময় কাটাবার রসদ নিয়ে হাজির হয় তবে তার স্বাদ চেখে দেখার সাধ কার না হয়! এছাড়া বই বা ম্যাগাজিন সবসময় হাতে নিয়ে বেরোনোও হয়না, তাই পাঠকের কথা চিন্তা করেই এই ওয়েব ম্যাগাজিনের পরিকল্পনা।