“বাবা তুমি কবে আসবে? আমার নতুন স্কুলড্রেস বানাতে হবে, দর্জিকাকু বলেছে এক মিটার কাপড় লাগবে। এক মিটার মানে কতটা বাবা?”
কমলেশ বলেছিল, “বেশি না রে।”
ছেলের সাথে সেটাই ছিল তার শেষ কথা, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায়।
দিন পনেরো পর মিতুনকে নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে বাবার মৃতদেহের সামনে, এক মিটার দূর থেকে বাবাকে দেখতে দেখতে মিতুনের মনে হলো বাবা ভুল বলেছিল এক মিটার মানে কম নয়, অনেকটাই বেশি।
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।
আমার শৈশব ভাড়াবাড়িতে। তাই গরমের ছুটিতে কাকু, জেঠুদের বাড়ি টানা একমাস ছুটি কাটাতে যেতাম। মামাবাড়িও যেতাম। ছেলেবেলার গরমকাল জুড়ে বেশ কিছু মজার স্মৃতি আছে
লেখককে শুধু একটুকরো দীর্ঘশ্বাস উপহার দিলাম। আর দেবার মতো কিছু মনে আসছেনা।